নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন পণ্যের দাম বিভিন্ন সময়ে কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। এখনও ভরা মৌসুমে লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমেও অধিকাংশ সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বেশকিছু সবজি কেজিতে আগের সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল, আটা, মাছ, চিনি ও ডাল। দাম বেড়েছে ডিমের ও ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার।
কিছুদিন আগেও ডিমের বাঁজারে অস্থিরতা ছিল। এরপর কিছুটা দাম স্থিতিশীল হলেও ফের খুচরা দোকানে ডিমের দাম বেশি দেখা গেছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। তবে বড় বাজারে ডিমের ডজন ১৪০-১৪৫ টাকায় মিলছে।
বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ দেশি ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
স্থান ও মানভেদে ভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৫০-৬০ টাকা। করলা ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স ১০০-১১০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৮০-৯০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও কাঁচা পেঁপে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
স্থান ও মানভেদে কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৯০ টাকা, শিম ৭০-৯০ টাকা, ঝিঙা ৮০-৯০, কচুর লতি ৭০-১০০ টাকা, কচুর মুখী ১০০-১২০ টাকা, গাজর ২০-৪০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।
আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ থেকে ৭০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাল শাকের আঁটি ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২৫-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সরকার গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও কথা শুনছে না কেউ। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বর্তমানে ৭৫০ টাকা কেজি, কোথাও আরও বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেয়ার ও সোনালি জাতের মুরগির কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে স্থানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

















