মঙ্গলবার , ২৭ মে ২০২৫ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

ব্যাংক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ২৭, ২০২৫ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিএফআইইউর সক্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন।

মঙ্গলবার ( ২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩-২৪ প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ এর প্রধান এ. এফ. এম শাহীনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউ এর উপ-প্রধান মো. কাওছার মতিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান, ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশনস এর পরিচালক (চলতি-দায়িত্বে) মহুয়া মহসীন, বিএফআইইউ এর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএফআইইউ এর প্রধান এ.এফ.এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, বিএফআইইউ তার কাজের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি একাধিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়কালে বিএফআইইউ এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো হতে বিএফআইইউতে দাখিল করা বিভিন্ন রিপোর্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো বিএফআইইউ-তে সর্বমোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২২ দশমিক ৯৬ শতাশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিএফআইইউ এর সক্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন। গত বছরের তুলনায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হতে নগদ লেনদেন বিবরণীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিএফআইইউ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় প্রেরণ করে। এছাড়া, বিএফআইইউ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সাথে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯১ শতাশ বেশি। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে বিএফআইইউ তদন্তকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অগ্রাধিকার বিবেচনায় বিএফআইইউ সরকারের সাথে পরামর্শ করে যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে পরামর্শ, কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিদেশি আইনি সংস্থা নিয়োগের মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে, বিদেশ হতে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার একটি অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। তারপরও আশা করা যায়, বিএফআইইউ এর বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বিদেশ হতে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ - জেলার খবর

আপনার জন্য নির্বাচিত