শুক্রবার , ১০ অক্টোবর ২০২৫ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

সবজির দাম উচ্চ পর্যায়ে স্থির , আবার বেড়েছে ডিম-মুরগির দাম

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ১০, ২০২৫ ১:৫৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বর্ষায় উৎপাদন ব্যাহত, বৃষ্টিতে সরবরাহ সমস্যা আর এ দুই মৌসুমের ফাঁদসহ নানা কারণে সবজির দাম কয়েক মাস ধরেই উচ্চ পর্যায়ে স্থির রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, সবজির মৌসুম নয় বা বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট এমন কারণ দেখিয়ে বিক্রেতারা লাগামহীন দাম ধরে রেখেছেন। এ ছাড়া ফার্মের ডিম ও মুরগির দামও বেড়েছে চলতি সপ্তাহে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর শান্তিনগর, মগবাজার, মালিবাগ সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে।

আজকের বাজারে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি (ছোট) প্রতি পিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতি পিস ১৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত যে মানের ডিম ১৪০ টাকা ডজন ছিল, তা গতকাল ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে তুলনামূলক ছোট ডিম ডজন ১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, যা গত এক মাস আগেও ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে। দেশি মুরগির দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার নিচে নেই। জনপ্রিয় মাছ যেমন রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও চিংড়ির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

রামপুরা বাজারের ক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, আগে মাসে কয়েকবার দেশি মুরগি কিনতাম, এখন সেটা স্বপ্ন হয়ে গেছে। মাছ কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দাম। বাজারের সঙ্গে আয়-রোজগারের কোনো মিল নেই। অসাধু চক্রের সদস্যরা অদৃশ্য থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত চার মাস ধরে সবজি বিক্রেতারা বলে আসছে, এখন বেশিরভাগ সবজির মৌসুম নয় তাই দাম বেশি। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও সবজির দাম বাড়তি। তাহলে মৌসুমটা শুরু হচ্ছে কখন আর শেষ হচ্ছে বা কখন? এত বেশি সবজির দাম, তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোন উদ্যোগ কখনো দেখতে পাই না।

সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম ও মুরগি বিক্রেতা নূর-ই-আলম বলেন, ‘বর্ষা শেষে এখন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় সোনালি জাতের মুরগির চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। আর সবজির দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বাড়লে দাম কিছুটা বেশি থাকে।’

সবজির দাম বৃদ্ধি বিষয়ে মগবাজারের সবজি বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, ‘টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে খেত ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাবে আরো কিছুটা দাম বেড়েছে সবজির। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ হওয়ায় সেই সবজিগুলোর দাম বাড়তে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই নতুন সবজি উঠতে শুরু করবে, তখন থেকে সবজির দাম কমে যাবে। বর্তমানে বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজি সরবরাহ কম, যে কারণে সব ধরনের সবজির দামই বাড়তি যাচ্ছে।’

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের বাজার মনিটরিং দুর্বল হয়ে পড়ায় এই ‘অদৃশ্য সিন্ডিকেট’ দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পাইকারি-খুচরা দামের ব্যবধান কমাতে না পারলে নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে না।’

বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, অদৃশ্য এক সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দামের বিশাল ব্যবধান তৈরি করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

সর্বশেষ - রাজনীতি