নিজস্ব প্রতিবেদক :
জুলাই অভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাইদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো এক মাস সময় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের আবেদনে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ জুলাই তারিখ রাখা হয়েছে।
একইসঙ্গে মামলার আসামি সাবেক এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে ১৮ জুন এবং রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে আদালত।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রোববার এ আদেশ দেয়।
এ ছাড়া প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে কারাগারে চিকিৎসা ও ডিভিশন দিতে যে আবেদন করা হয়েছে, তার ওপর শুনানির জন্য ২৬ জুন দিন রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে এদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর এম তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন, বি এম সুলতান মাহমুদ ও এস এম মঈনুল করিম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাশেদুল হক খোকন ও দেলোয়ার হোসেন সোহেল।
আসামি আমির হোসেন, সুজন চন্দ্র রায়, শরিফুল ইসলাম ও আকাশকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ।
চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিছু প্রক্রিয়াগত কাজ বাকি আছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করা যাবে।
পরে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করে দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের এ শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
ওই ঘটনায় ১৮ অগাস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আসে।