নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যার মামলায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাৎ আলীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ইমাম হাসান তাইম রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপ-পরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত শুনানি শেষে শাহাদাৎ আলীকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এদিন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এসআই শাহাদাৎ আলীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২০ আগস্ট নিহতের মা মোসা. পারভীন আক্তার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন- এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম, এসি তানজিল আহমেদ, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে সরকার। ওই দিন দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সাথে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা খেতে যান। ওই সময় কিছু মানুষ বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভ করছিলেন। তখন ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গী পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি চালান। প্রাণভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এলোপাথারির ছোটাছুটি করতে থাকেন। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের সাটার টেনে দেন। কিন্তু, সাটারের নিচের দিকে কিছুটা খোলা ছিল। সেখানে অবস্থানকারীদের টেনে বের করে পুলিশ। গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলেন জাকির হোসেন। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেন। জাকির গুলি করেন। সেখানেই মারা যান তাইম।