নিজস্ব প্রতিবেদক :
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আমির হোসেন। রায়ের পর তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, এমন রায়ে তিনি ক্ষুদ্ধ। ক্লায়েন্টের সাজা হওয়ায় তিনি কষ্ট পেয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায়ের পর সাংবাদিকদের দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় আমির হোসেন এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘এই রায়ে আমি ক্ষুব্ধ। আমি আমার ভেতরে কষ্ট লালন করছি। আমি কষ্ট পাচ্ছি। এই মামলায় কোনো আপিল করার সুযোগ নেই। এজন্য কষ্ট পাচ্ছি যে আমার ক্লায়েন্টের সাজা হয়েছে।’
এর আগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দেন। এই সাজা পান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। রাজসাক্ষী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মো. আমির হোসেন বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার ক্লায়েন্টরা এসে ট্রাইব্যুনালে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করবেন অথবা তারা কোনোভাবে গ্রেফতার হবেন, এর আগ পর্যন্ত কোনো অ্যাপিলেট (আপিল ) ডিভিশনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আইনজীবী বলেন, ‘আমাকে রায়ের কপিও ট্রাইব্যুনাল দেবে না বলেছে। দেবে না এটাই ফাইনাল। এটা অনেকে বলছে যে তারা এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়।’
আসামিপক্ষ আপিল করতে পারবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে।’
রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমার যুক্তি তারা অনেক কিছুতে নিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের মনে হয়েছে আমার যুক্তির চেয়ে তাদের যুক্তি অনেক শক্তিশালী। সেটা মনে করে তারা সেভাবে রায় দিয়েছেন। আমারটা নেয়নি এটা আমি বলবো না।’


















