নিজস্ব প্রতিবেদক :
পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
সকালে ভাষানটেক থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আর রমনা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু ও লেখক শাহরিয়ার কবিরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
আজ সকাল ৯টার পর কড়া পুলিশ পাহারায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
গতকাল সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে আটক করেন এলাকাবাসী। পরে তাঁদের পুলিশে দেন তাঁরা। আর গতকাল মধ্যরাতে বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহরিয়ার কবিরকে।
ভাষানটেক এলাকায় ফজলুর (৩১) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ওই মামলা করেন নিহত ফজলুর ভাই মো. সবুজ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ভাষানটেকের দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফজলুর। এই মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ১৮ জুলাই বিকেলে লিজা আক্তার (১৯) নামের এক তরুণী সিদ্ধেশ্বরী নিউ সার্কুলার রোডের একটি ফ্ল্যাটের ১৪ তলায় অবস্থান করছিলেন। সেদিন ওই এলাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র, শত শত সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়া হয়। এতে লিজা গুলিবিদ্ধ হন। পরে ২২ জুলাই মারা যান। লিজা আক্তারের বাবা জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় শাহরিয়ার কবির ও মোজাম্মেল বাবুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।