নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলে কর সংগ্রহে তা ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিতে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আমরা দুর্নীতির পাহাড় থেকে জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে না পারি তবে আমরা কেমন বিপ্লব করেছি?’
‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ওপেন বাজেট সার্ভে ২০২৩-এর ফলাফল’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এই সেমিনারের আয়োজন করে ইআরএফ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া হবে। আর প্রতিবেদনটির ফলাফল ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে।’
দাতা সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের সন্দেহের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক বড় প্রকল্পে দাতা সংস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অর্থায়ন করেছেন। তারা উদ্বিগ্ন যে এই প্রকল্পগুলো চলবে কি না। আগামী দিনে বাংলাদেশ কীভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে- এমন জিজ্ঞাসা তাদের।’
জানুয়ারিতে দাতা সংস্থা ও সরকারের মধ্যে একটি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে দেবপ্রিয় আগামী দু’মাসের মধ্যে ‘ফোরাম ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এই ফোরাম তৈরি করে দাতা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাঁচটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যার প্রথমটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্য বিষয়গুলো হলো– ব্যক্তিগত বিনিয়োগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা, জ্বালানি সংকটের সমাধান, সরকারি অর্থায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর করে দ্রুত প্রকল্প সম্পন্ন করা এবং সঠিকভাবে কর সংগ্রহ নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।’
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সরকারের লক্ষ্য পূরণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।