নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সড়ক-মহাসড়কে লক্কর-ঝক্কর বাস, পণ্যবাহি গাড়িতে যাত্রী চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এ ধরনের যানবাহন রাস্তায় দেখা মাত্র কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় এমন হুঁশিয়ার দেন তিনি।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মতবিনিময় সভায় নানা উদ্যোগের কথা জানায় হাইওয়ে পুলিশ। এতে অংশ নেয় সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা।
সভায় গুরুত্বপূর্ণ ৫টি মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে কোথায়, কেমন যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে, তা তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ সংশ্লিষ্টরা।
নিরাপদ সড়ক চাইয়ের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ছোট গাড়িগুলো যেগুলো হাইওয়েতে চলে আসে সেটা একটা বড় সমস্যা। এটাই কিন্তু যানজট ও দূর্ঘটনার প্রধান কারণ।’
ঈদ যাত্রায় ফিটনেস বিহীন গাড়ি যাতে চলতে না পারে, সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে পরিবহন মালিক সমিতি। তারা জানায়, নেওয়া হবে না বাড়তি ভাড়া।
সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা বলেন, ‘আমি জানি। আমি একেবারেই ওয়াকিবহাল। কোনো কোনো জায়গায় নেওয়া হয়। যাতে না নেওয়া হয় সে ব্যবস্থাই আমরা করব এবার। যাতে না নিতে পারে তারা।’
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে গন্তব্য যেতে পারে সে জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে। যাত্রী টানতে পণ্য পরিবহনের কোন গাড়ি ঈদ যাত্রায় চলতে দেওয়া হবে না।
হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘যানবাহনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পিকআপে এ রকম অনিরাপদ যাত্রা করতে পারবেন না। এটা মালিক ও শ্রমিক ভাইদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ। আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন, নেবেন। আমরাও কিন্তু রাস্তায় আইন প্রয়োগে কঠোর থাকব।’
পুলিশ জানায়, ঈদ যাত্রায় ৩ হাজার হাইওয়ে পুলিশ সদস্য সড়ক-মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করবেন। আর সারা দেশে ১১২টি যানজট প্রবণ এলাকায় তৎপর থাকবে অন্য বাহিনী। এসব এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে সিসি টিভি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।