সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক-গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জেলা, উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যেসব ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত আয় করেন কিন্তু ট্যাক্স দেন না সেসব ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বীতিয় দিনের অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের সব চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেয় সেটাও রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ ডিসিরাই উত্থাপন করেছেন গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন৷ তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে৷ আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে তো হবে না৷ এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান৷ সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এ ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি৷ মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে৷ আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ৷

তিনি বলেন, দেশের সব চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেয় সেটাও রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক-আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন৷ এর কারণে কিন্তু তাদের করের আওতায় আনা যায় না ৷ চিকিৎসকরা যে ফি নেন তার রিসিট তো আপনারা নেন না৷ এ ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে৷ বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড৷

চিকিৎসকদের করের আওতায় কি উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে অর্থ উদেষ্টা বলেন, তাদের যেসব সহকারী বসে থাকে তারা টাকা নেয় কিন্তু রিসিট দেওয়া৷ এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন৷ আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখিনা তারা রিসিট দেয়৷

তিনি বলেন, আমাদের কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে৷ স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বাড়ানো সহজ৷ চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ৷ চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন৷ অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না৷ যোগাযোগ না থাকায় ব্যালেন্স উন্নয়নটা করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে৷ মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হয় তাহলে জনগণ যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়৷

 

 

 

সর্বশেষ - রাজনীতি