নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে র্যাব-৩। এ সময় চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলে বিকেল পর্যন্ত।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এসব লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভুল চিকিৎসায় রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নানা দুর্ভোগে ফেলা হচ্ছে।’
এ ধরনের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলমান থাকবে উল্লেখ করে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, খিলগাঁও এলাকায় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে সীমান্তিক ক্লিনিকের মালিক মো. সামসুদ্দীনকে (৬২) ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ল্যাব টেকনিশিয়ান মাহবুব আলমের (৫২) শিক্ষাগত সনদ না থাকায় ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই হাসপাতালে পরিবেশ ও নার্কোটিক্স ছাড়পত্র নেই। ওষুধ রাখার স্টোর নোংরা, ওটি ও এক্স-রে রুম অস্বাস্থ্যকর এবং ডিউটি ডাক্তার ১৫ জনের বদলে ১০ জন, নার্স ৩০ জনের বদলে ১২ জন ও ফায়ার লাইসেন্স ছিল না।
একই এলাকার পিপলস্ হসপিটালের মালিক মো. মনোয়ারুল হককে (৩৫) ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। এই হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স না থাকা এবং পরিবেশ ও নার্কোটিক্স ছাড়পত্র না থাকা, ওটি ও এক্স-রে রুম অস্বাস্থ্যকরসহ অপ্রতুল ডাক্তার ও নার্স দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে।
পরবর্তীতে রাজধানীর মুগদা এলাকায় বিকেল অভিযান পরিচালনা করে ‘ফ্রেন্ডস কেয়ার হাসপাতালে’ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালের মালিক শফিকুর রহমান এবং সাকুর আহমেদকে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছিলো।
মুগদার ‘সুরাইয়া হাসপাতালে’ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালের মালিক মো. সিরাজুল ইসলামকে ২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।