নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর পোস্তগোলা সেতুর (বুড়িগঙ্গা-১) সংস্কার কাজ টানা ১৫ দিন পরে শেষ হওয়ায় আজ শনিবার (৯ মার্চ) খুলে দেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের রাজধানীতে অন্যতম প্রবেশদ্বার খ্যাত এই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। কার্যক্ষমতা বাড়াতে সেতুটি সংস্কারে কাজ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। ফলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহাকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প সেতু অর্থাৎ বাবু বাজার সেতু দিয়ে চলাচল করে। সংস্কার চলে ৮ মার্চ পর্যন্ত। ৯ মার্চ থেকে এই সেতু দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবুজ উদ্দিন খান গণমাধ্যমে জানান, মাইক্রো কংক্রিট দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে পোস্তগোলা সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত দুটি গার্ডার। এর ফলে আয়ুস্কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর সেতুর সংস্কার কাজে হাত দিতে হবে না।
শনিবার সকাল ছয়টায় সেতুটি খুলে দেয়া হলেও সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আজও চলছে। সেতুর মাঝখানে ডাইভারশন দেয়ায় ঢাকা থেকে বের হওয়ার লাইনে গাড়ির জট লেগে গেছে। তবে ঢাকায় প্রবেশের লাইনে কোনো যানজট নেই।
সেতুর মাঝ বরাবর ঢালাই কাজের জন্য নুড়ি পাথর ট্রাক দিয়ে জমা করতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা সেগুলো বিশেষ সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
২০২০ সালের জুনে বুড়িগঙ্গার সদরঘাটে ডুবে যায় লঞ্চ মর্নিং বার্ড। পোস্তগোলা সেতুর নিচ দিয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় যাওয়ার সময় ধাক্কা দেয়। এতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর গার্ডার। এরপর দফায় দফায় করা হয় সংস্কার।
এর আগে এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, পোস্তগোলা সেতুর রুটিন সংস্কারের অংশ হিসেবে রেট্রোফিটিং ও দুটি গার্ডার মেরামত শুরু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। সংস্কার কাজের জন্য পোস্তগোলা ব্রিজ বন্ধ থাকতে পারে ৮ মার্চ পর্যন্ত।
মেরামত চলাকালীন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনকে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।