নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনসহ এসব খাতের কোথাও চাঁদাবাজি দেখলেই দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লোভে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। সব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সড়ক ও মহাসড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পণ্যের দামে চাঁদাবাজির চাইতে বেশি প্রভাব পড়ে ব্যবসায়ীদের অধিকতর মুনাফার চিন্তাভাবনার। যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়ককে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
নিত্যপণ্যে যারা অতি মুনফা করে দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে যখনই আসে তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। যারা অধিক মুনফা করছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পাড়ায়-মহল্লায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হলে অধিক মুনাফা রোধ করা সম্ভব হবে।
ঘন ঘন আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে দেখেছি বড় বড় দু’চারটা অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের অনুসন্ধান চলছে।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা দরকার। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ড রোধে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করলে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারবো। রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে দেয়ার জন্য জায়গা দিয়েছি, তারপরও তারা গোপনে আবারও চলে আসে। আইনভঙ্গ করে, রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে এবং যত্রতত্র সিলিন্ডার ব্যবহার না করার জন্য সবার প্রতি নির্দেশনা দেয়া আছে। নাশকতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি মল্লিক ফখরুল ইসলাম।