সোমবার , ২৪ জুন ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

‘জল্লাদ’ শাহজাহান মারা গেছেন

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ২৪, ২০২৪ ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের ইতিহাসে সব থেকে বেশি ফাঁসি দেওয়ার রেকর্ড ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন।

আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

কারা সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জন আসামি, মানবতাবিরোধী মামলার চারজন আসামি, খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে ‘বাংলা ভাই’ ও আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনি, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান।

জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো জল্লাদ শাহজাহান ৩২ বছর সাজা ভোগের পর গত বছরের ১৮ জুন কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার মুক্তি পান। শাহজাহানের মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। তার মধ্যে তিনি ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন।

১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন শাহজাহান। তার জন্মস্থান নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে। তিন বোন, এক ভাই। বাবার নাম হাসান আলী ভূঁইয়া ও মা মেহের। পড়াশোনা করেছেন এইচএসসি পর্যন্ত। ১৯৭৪ সালে তিনি এইচএসসি পাস করেন।

নরসিংদী জেলার কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন শাহজাহান। ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জেলার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, একবার তার গ্রামে নারীঘটিত একটি ঘটনা ঘটে। শাহজাহানের দুই বন্ধুসহ তার নামে অভিযোগ ওঠে। গ্রামে তাকে নিয়ে বিচারে বসা হয়। সেই বিচারে অপরাধী প্রমাণিত করে তাকে সাজা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তার ক্ষিপ্ততা শুরু। তিনি অপমান সহ্য করতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেন অপরাধ জগতে প্রবেশ করে এই অপমানের চরম প্রতিশোধ নেবেন।

ওই ঘটনার পরে তিনি বাংলাদেশের একজন বহুল পরিচিত সন্ত্রাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন। তার উল্লেখযোগ্য একটি অপারেশন ছিল ১৯৭৯ সালে মাদারীপুর জেলায়। এটাই ছিল তার জীবনে সর্বশেষ অপারেশন। সেখানে অপারেশন শেষ করে মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে শাহজাহানের দল মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকায় যাবে।

মানিকগঞ্জে পুলিশ চেকপোস্ট বসালে শাহজাহান তার ওই এলাকার বাহিনীর মাধ্যমে তা জেনে যান। সব জেনেই ওই এলাকা দিয়ে ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিও হয় কিন্তু পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। এরপর ঢাকায় পৌঁছে যখন নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা হন, পথিমধ্যে পুলিশ তাকে আটক করে ফেলে। তার গতিময় জীবনের এখানেই সমাপ্তি এবং এরপর থেকে তার বন্দী জীবন শুরু।

১৯৭৯ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে তার নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং অবশিষ্ট ৩৪টি হত্যা মামলা।

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত

হবিগঞ্জের বাহুবলে ক্যাপসিকাম আবাদে আব্দুস ছালামের সাফল্য

আপিলকারীরা শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন : ইসি

নির্বাচনে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি : টিআইবি

তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে পালিয়েছে তার তদন্ত হচ্ছে : শফিকুল আলম

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ড

গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল জিয়া : প্রধানমন্ত্রী

গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল জিয়া : প্রধানমন্ত্রী

জবির সেই শিক্ষক ইমনকে বহিষ্কার, চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

নির্বাচনে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি প্রস্তুত : বিজিবি মহাপরিচালক