নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা সংক্রমিত রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শরীরে অমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে।
প্রতিবেশী ভারতে জেএন.১ উপধরন সংক্রমণ বাড়ছে। বিশ্বের আরও অনেক দেশে এ উপধরন ছড়িয়ে পড়েছে। ডিসেম্বর মাস থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ উপধরন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে। দ্রুত ছড়ানোর কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সংস্থাটির সতর্কবার্তায় বলা হয়, করোনার অমিক্রন ধরনের জেএন.১ উপধরন বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। শীতকালে কোভিড এবং অন্য সংক্রমণগুলোর প্রকোপ বাড়তে পারে। উত্তর গোলার্ধে ইতোমধ্যে আরএসভির মতো বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস এবং শিশুদের নিউমোনিয়ার হার বাড়তে দেখা গেছে। কোভিডের জন্য দায়ী ভাইরাসটি শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রূপ পাল্টেছে। এর কয়েকটি ধরনও তৈরি হয়েছে। মাঝে কিছু দিন বিশ্বজুড়ে অমিক্রন ধরনের আধিপত্য দেখা গিয়েছিল।
তবে বর্তমানে করোনার এ ধরনের সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম উল্লেখ করে সংস্থাটির বার্তায় বলা হয়, বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।
এর আগে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য অধিপ্তর। প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
একই সঙ্গে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকার চতুর্থ ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা করতে হবে। এর আগে ৪ জানুয়ারি করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও একই পরামর্শ দিয়েছিল।