নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও জাপানের পর্যবেক্ষক দল।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।
লিখিত বক্তব্যে আলেক্সান্ডার বারটন গ্রে বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ হলেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমাদের কাছে কেউ কারচুপির অভিযোগ করেনি।’
আলেক্সান্ডার বারটন গ্রে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বাংলাদেশের নির্বাচনে খুবই আগ্রহী। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। সে কারণেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে সবাই। আমরা লক্ষ্য করেছি যে গতকাল সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের ভোট প্রক্রিয়া বিশ্বের অনেক দেশের মতোই সুষ্ঠু।’
আলেক্সান্ডার বারটন গ্রে আরও বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা ও ভোটারদের ভোট দিতে বিরত রাখার প্রচারণা নির্বাচনের উৎসবে প্রভাব ফেলেছে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আনন্দময় হতো। আমরা যে সমস্ত কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে, তাদের ভোট দেওয়ার পথে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলগুলোর দ্বারা ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি দেখা যায়নি। আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সরকারি প্রার্থী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের, যা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এসব ঘটনা খুবই নগণ্য।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রেলিয়ান পর্যবেক্ষক শোকেত মোসলেমানে বলেন, ‘নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করেছে কিনা সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা দেখেছি যে নির্বাচনটা হয়েছে সেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছে কিনা। আর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দল ও দেশের মানুষ রয়েছে।’
পর্যবেক্ষকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন—সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটস, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বার শোকেত মোসলেমান, ওএসসিইর আমেরিকান নির্বাচন পর্যবেক্ষক টেরি এল এসলে, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ইকনোমিক ফোরামের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ক্রিস্টীফার জন ব্ল্যাকবার্ন, ইইউ রিপোর্টারের রাজনৈতিক সম্পাদক নিকল হো পোয়েল, জার্মান রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভলকার উয়ে ফ্রেডরিক, ওয়ার্ল্ড পিস অরগানাইজেশানের প্রেসিডেন্ট আনড্রেস নিলস হেনরি ও জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক ইয়োশিহিরো।