নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনের সচিবকে এর মুখপাত্র মনোনীত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসাবে তিনিই গণমাধ্যমে বক্তব্য দেবেন। গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এ আদেশ জারির ফলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ছাড়া নির্বাচন কমিশনাররা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই আদেশ জারির পর গণমাধ্যমে কথা বলতেও রাজি হননি কোনো কোনো নির্বাচন কমিশনার। সম্প্রতি নির্বাচনের প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ নেই-এক সংলাপের ধারণাপত্রে ইসির এমন বক্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। ওই ধারণাপত্রসহ কয়েকটি বিষয়ে নির্বাচন কমিশনাররা পৃথকভাবে গণমাধ্যমেও বক্তব্য দেন। এরপরই নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মুখপাত্র কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা ওঠে।
আদেশ জারি করা রোববারের চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন (কার্যপ্রণালি) বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ১১ (৩)-এর আলোকে কমিশনের মুখপাত্র হিসাবে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিকে ব্রিফ করার জন্য সচিবকে মনোনীত করা হয়েছে। ইসির প্রতিনিধি হিসাবে সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করবেন এবং তিনি কমিশনের মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। ওই চিঠির ব্যাখ্যায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন কমিশন (কার্যপ্রণালি) বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ১১ (৩)-তে বলা আছে যে, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসাবে সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করবেন এবং কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইলে সচিব ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখিতে পারিবেন না। তাই জনসংযোগ শাখা থেকে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নির্ধারণ সংক্রান্ত যে আদেশটি জারি করা হয়েছে, সেটি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। নির্বাচন কমিশনারদের গণমাধ্যমে কথা বলা বা না বলার বিষয়টি এর সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।