মঙ্গলবার , ১৫ জুলাই ২০২৫ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

প্রাথমিক বাছাইয়ে নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ এনসিপিসহ ১৪৪ দল

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ১৫, ২০২৫ ৬:১৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নিবাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক বাছাইয়ে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে নিবন্ধন চাওয়া নতুন ১৪৪টি দলের সবাই। ফলে ঘাটতি থাকা কাগজপত্র জমা দিতে ১৫ দিন সময় পাচ্ছে দলগুলো। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামও রয়েছে এ তালিকায়। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দেয়া হবে। পরবর্তী ধাপে অন্যান্য দলগুলোকেও চিঠি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে, তা সংশোধন করে জমা দিতে হবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বেশ কিছু দল আবেদন করলে ২২ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ায় সংস্থাটি। ওই সময় পর্যন্ত ১৪৪টি দল ১৪৭টি আবেদন করে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, দলগুলোর মধ্যে কোনোটিই প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তাই প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে এবং এনসিপিসহ ৮২টি দলকে দ্বিতীয় ধাপে চিঠি দেয়া হচ্ছে।

নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ সংগ্রামী ভোটার পার্টি, মুসলিম জনতা পার্টি, নতুন প্রজন্ম পার্টি, ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি, বাংলাদেশ নাগরিক দল (বিএনডি), ন্যাশনাল ফ্রিডম পার্টি, নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), জাতীয় জনতা পার্টি এবং আরো অনেকে।

এছাড়াও রয়েছে: বাংলাদেশ সর্ব-স্বেচ্ছা উন্নয়ন দল, কোয়ালিশন-ন্যাশনাল পার্টি (সিএনপি), জাস্টিস ফর হিউম্যানিটি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ-তিসারী-ইনসাফ দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি (বাজপা), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি (বাজপ), বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ আজাদী পার্টি (বিএপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ ইসলামিক জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট পার্টি (বিডিএম), মানবিক বাংলাদেশ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি, এবং আরও বহু দল।

এছাড়াও বাংলাদেশ রক্ষণশীল সমাজ, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা), বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি, বাংলাদেশ মাতৃভূমি দল, বাংলাদেশ গ্রীন পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), ভাষানী জনশক্তি পার্টি, মৌলিক বাংলা, অহিংস গণ আন্দোলন, খেলাফত ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রজনতা পার্টি, বাংলাদেশ গণঅধিকার পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, সাধারণ জনতা পার্টি, এবং আরও অনেক সংগঠন আবেদন করেছে।

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে কিংবা পূর্বের নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পেলে তা নিবন্ধনের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর ইসি প্রথমে তা প্রাথমিকভাবে বাছাই করে। এরপর সংশ্লিষ্ট দলের তথ্যাবলী সরেজমিনে তদন্ত শেষে চূড়ান্ত বাছাই সম্পন্ন করে এবং আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।

বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এখন পর্যন্ত ৫৫টি দল নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত না পূরণ, শর্ত ভঙ্গ অথবা আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।

বাতিল হওয়া দলগুলো হলো—জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতকে নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।

সর্বশেষ - রাজনীতি