নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ কখনোই ভিন্নভাবে চিন্তা করা যায় না, ভবিষ্যতেও যাবে না। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় দিয়ে তিল তিল করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমি রচনা করেছেন।
রোববার (১৭ মার্চ) সকালে বিজিবি সদর দফতর, পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিজিবি ডিজি বলেন, বাঙালি জাতিকে মুক্তির স্বাদ এবং স্বাধীনতা দেবার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সকল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন; অকাতরে জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তাঁর ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি শুধু স্বাধীনতার বীজ বপনই করেননি, স্বাধীনতাকামী মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন। কীর্তিমান এই অবিসংবাদিত নেতার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন প্রতিটি বাঙালির জন্য অনুকরণীয় ও গর্বের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে অনেক ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার যখন ভীষণ মন খারাপ থাকে তখন আমি শিশুদের সঙ্গে মিশে আমার মনটা ভালো করে নেই, কারণ শিশুরা পবিত্র এবং নিষ্পাপ।’ শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর এই অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণেই তাঁর জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। তাই বঙ্গবন্ধুর এই সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু কেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, কেন জাতির পিতা, তা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জানানো প্রয়োজন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সকালে বিজিবি সদর দফতরসহ সারাদেশে বিজিবি’র অন্যান্য সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গবন্ধুর ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ এর ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এর ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজ বাদ যোহর পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার, দেশ, জাতি ও বিজিবি’র উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সদর দফতর বিজিবি, পিলখানার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে সীমিত আকারে আলোকসজ্জা এবং সারাদেশে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটে ব্যানার, ফেস্টুন এবং পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে বিজিবি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক, অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।