নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও রয়েছেন।
সোমবার বিকাল ৫টা ৪২ মিনিটে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তায় তৌকির ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিন দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৯ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত ও দগ্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। দগ্ধদের মধ্যে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১২০ জন। তাদের অধিকাংশেরই শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ অংশ পুড়ে গেছে। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক আকাশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশে হতাহত অনেকের দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।