নাটোর প্রতিনিধি :
অতীতে যারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাদের ব্যক্তি স্বার্থ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ রবিবার দুপুরে নাটোরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘অতীতে যারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাদের ব্যক্তি স্বার্থ ছিল। যারা মন্ত্রী হয়েছেন,তাদের নিজেদের কারখানা থাকায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অনেক শিল্প মালিক আছেন, যারা শ্রমিকদের দেখাশোনা না করে নিজেদের দেখাশোনা করেছে। আমাদের শ্রমিকরা যদি তাদের যথাযথ প্রাপ্ত বুঝে না পায়, তাহলে আমরা যে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখছি, তা বাস্তবায়ন সম্ভব না। অতীতের এসব কাজের কারণে আমাদের কিছুটা চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আমেরিকা নানা দিক থেকে চাপ দিচ্ছে।’
বাংলাদেশ শ্রম ও আইনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ্য করে তিনি বলেন,‘গত আট মাসে আমরা দুইবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। আমরা এখনো রপ্তানিমুখী শিল্পে বৈচিত্র্য আনতে পারিনি। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্প এখনো খুব সীমিত। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পই হচ্ছে গার্মেন্টস। গার্মেন্টস কারখানার জন্যই আমাদের রপ্তানিশিল্প টিকে আছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্প আমাদের সম্ভাবনাময় রপ্তানি শিল্প। তবে, আমরা সেখানে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারিনি।’
শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বিনা কারণে কোনো কারখানার শ্রমিকদের উত্তেজিত করে কারখানার ক্ষতি করা যাবে না। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে সেই কারখানার কর্মীরা কর্মহারা গিয়ে পড়েন। তাই নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
এর আগে উপদেষ্টা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নাটোর জেলার ২৪ জন শ্রমিক ও পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফিনসহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।