নিজস্ব প্রতিবেদক :
মিয়ানমারে রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এতে কেঁপে উঠেছে ঢাকাসহ সিলেট ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের নাম্থা অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রাজধানী ঢাকা থেকে ভূমিকম্প উৎপত্তিস্থল কেন্দ্রের দূরত্ব ৫৩১ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টা ৩২ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫। তবে মিয়ানমারের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোয় কম্পনের অনুভূতি বেশি ছিল। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে।
এর আগে, ২০২৩ সালে সিলেট জেলার কানাইঘাট থেকে সাত কিলোমিটার দূরে আসামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ভূমিকম্পের মূল যে জায়গা ধরা হয় সেটি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, যা সিলেটের অন্তর্গত। এই অঞ্চল টেকটনিক প্লেটের কাছাকাছি। এ ছাড়া আসাম, শিলংয়ে প্লেট আছে। এসব জায়গায় ভূমিকম্প হলে সেটির প্রভাব পড়ে দেশের মধ্যে। তবে এমন ছোট ছোট ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতায় হঠাৎ বড় ভূমিকম্প হবে কি না, তা নিয়ে আগে থেকেই কিছু বলা যাবে না।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিলেটের ফল্ট লাইনে দিনের বেলা ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হলে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫ ভবন ধসে পড়তে পারে। ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা সমমূল্যের।