নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বামী হত্যার দায় থেকে মুক্তি পেতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহবান জানান। জান্নাতুল বলেন, তার স্বামী পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান (প্রতিষ্ঠাতা) হাসান আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী। এই ঘটনায় তিনি জেল থেকে জামিনে এসে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন। তবে তার সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন কবির আহমেদ ও তার পরিবার।
তিনি আরও বলেন, তার স্বামী হাসান আহমেদ ২০২০ সালে হঠাৎ করেই স্ট্রোক করে অসুস্থ্য হয়ে ঘরে পড়ে থাকেন। এসময় তিনি পপুলার লাইফস ইন্সুরেন্স থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর হাসান আহমেদের ব্যক্তিগত ম্যানেজার বিদ্যুৎ ঘোষ ও ছোট ভাই কবির আহমেদ ও মুসা আহমেদ সব সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নানা চক্রান্ত করতে থাকে। পরে ২০২২ সালে হাসান আহেমদ মৃত্যু হলে তারা আমাকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আমি হাজিরা দিতে গেলে আদালত আমাকে জেলে প্রেরন করে। পরে পল্টন থানা মামলার তদন্ত করে আমাকে আসামী থেকে অব্যহতি প্রদান করে। কিন্তু বাদীপক্ষ নারাজী দেয়ায় ডিবি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে কবির আহমেদ বলেন, আমার অসুস্থ্য ভাইয়ের অর্থ সম্পত্তি গ্রাস করতে ভাবি জান্নাতুল ফেরদৌস পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। জীবিত থাকাকালীন আমার ভাই তার স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতো না। আমার ভাইকে হত্যার পর ভাইয়ের এফডিআর ভেঙ্গে ৮ কোটি টাকা নিয়েছে জান্নাতুল। আদালতের মাধ্যমে ভাড়া বাদ দুই কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি। কয়েকটি ব্যাংকে থাকা ভাইয়ের একাউন্ট থেকে বিপুল পরিমান টাকা উত্তোলন করছে। কোম্পানীর শেয়ার, ফ্ল্যাট বিক্রি বহু সংখ্যক ফ্ল্যাটের ভাড়া এখনো নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ফেরদৌস তার শাশুড়ী অর্থাৎ হাসান আহমেদের মায়ের অংশ বুঝিয়ে দিচ্ছে না। শাশুড়ীকে ভাগ দিতে হবে বলে ফেরদৌস ১৩০ কোটি টাকার একটি এফডিআর নবায়ন করছেন না। অথচ ওই এফডিআর’র মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই টাকা আত্মসাতের জন্য ফেরদৌসী আমাকে ও আমার আমেরিকা প্রবাসী ভাই মুসা আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। অথচ মুসা দীর্ঘ ৪৫ বছর আমেরিকা বসবাস করছেন। মামলা তুলে নিতে জান্নাতুল আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।