নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি বছরের প্রথম ১৯ দিনে ১৩৬ কোটি ৪১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। রোববার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৯ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ছয় লাখ ৪০ হাজার ডলার। তাছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২২ কোটি পাঁচ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
হালনাগাদ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিদায়ী বছরে দেশে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে এসেছিল—২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার ও ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।
সেই হিসাবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে—তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। কারণ, প্রতিবছর যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়ে থাকে, সে অনুযায়ী প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। এ মাসে প্রবাসী আয় আসে ১৯৯ কোটি ডলার। এর আগে গত জুনে ২১৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।
দুই বছর ধরে চলা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে দেশে মার্কিন ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ৮৬ থেকে বেড়ে ১১০ টাকায় উঠেছে। তবে ব্যাংকগুলো আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি নিচ্ছে।