নিজস্ব প্রতিবেদক :
কর্মক্ষেত্রে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সেক্টরের এক হাজার ৪৩২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫০২ শ্রমিক। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ১৫টি সংবাদপত্র এবং ওশির উদ্যোগে মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এসএম মোর্শেদ বলেন, ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ৩২৯ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২৭৭। এ ছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা এক হাজার ১০৩ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২২৫ জন।
সেক্টরভিত্তিক তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০২৩ সালে পরিবহণ খাতে সর্বোচ্চ ৬৩৭ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১২৭ জন। এ সময় ২২০ দিনমজুর নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৭৬ জন। নির্মাণ খাতে নিহত ১৪৯ এবং আহত ৭২, কৃষি শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৬ ও আহত হয়েছে ১০ জন (যাদের মধ্যে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৭১ জন), পোশাকশিল্পে নিহত ৬৪ ও আহত ৮৯ জন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নিহত ৯৪ ও আহত ১৫ জন।
এ ছাড়া মৎস্য খাতে নিহত ৫৩ ও আহত ২২ জন, সেবা খাতে নিহত ২৬ ও আহত ২২ জন, সিরামিক খাতে নিহত ১৭ ও আহত ৯ জন, চামড়াশিল্পে নিহত চার ও আহত ১৭ জন, ইটভাটা বা ব্রিকফিল্ডে নিহত ১১ ও আহত ছয়জন, জাহাজভাঙ্গা বা শিপব্রেকিংয়ে নিহত সাত ও আহত ২৯ জন, চা শ্রমিক নিহত এক ও আহত ৬ জন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিহত তিন ও আহত ২ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবহণ খাতে সর্বোচ্চসংখ্যক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালে এ খাতে নিহত ৬৩৭ ও আহত ১২৭ জন। অথচ ২০২২ সালে নিহত ১০৫ ও আহত ২৯ জন ছিল।
প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পর্শ হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, সহিংসতা, গৃহশ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন, দেয়াল-ভবন-ছাদ ও ভূমিধসে মৃত্যুদের নামও পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।