খুলনা প্রতিনিধি :
খুলনার পাইকগাছায় দস্যুতা ও চোখে আঠা জাতীয় পদার্থ ‘গ্লু’ লাগিয়ে ধর্ষণের মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সন্দেহজনক মূল আসামি ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুলকে (২৩) ওয়ানস্যুটার গান, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া চোরাই স্বর্ণালংকার কেনার অভিযোগে সুমন হালদার, চুরি হওয়া মোবাইল হেফাজতে থাকায় এনামুলে মা রাশেদা বেগম ও একই এলাকার আ. সালাম নামের আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসামি এনামুল পরপর কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত করেছে। এর মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি কপিলমুনি পূর্বকাশিমপুর এলাকায় মাদক বিক্রির সময় সে ওয়ানস্যুটার গান, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে পাইকগাছার রাড়ুলিতে গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তার চোখে গ্লু লাগানো ও মোবাইলসহ তার কানের দুল চুরি করার কথা স্বীকার করে। কিন্তু ওই নারীকে ধর্ষণের কথা এখনও স্বীকার করেনি।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধূর রাইসকুকারে ভাতের সাথে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয় বলে স্বীকার করেছে। পরে রাত ২টার দিকে ঘরে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজাখুজির এক পর্যায় গৃহবধূর ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে প্রথমে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে। তারপর পকেটে থাকা সুপার গ্লু ভিকটিমের চোখে চোখে লাগিয়ে দেয়। এসময় চিৎকার করলে এনামুল শাবল দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করে। এতে রক্তক্ষরণ হলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর তার হাত-মুখ বেঁধে তাকে শারীরিক লাঞ্চিত করে। পরে তার কান থেকে দুল টান নিতে গেলে কানের লতি ছিড়ে পুনরায় রক্তক্ষরণ হয়।