গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মুকসুদপুরের ছাগলছিড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নাছিমা বেগম (৬৫) কমলা বেগম (৭৫), আসমা বেগম (৫৮), সালমা বেগম (৬২), ও মাইক্রোবাস চালক (৪০)। সালমা বেগম সাপ্তাহিক অপরাধচিত্র ও সংবাদ চিত্র প্রতিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব মোঃ সাহিদুজ্জামানের স্ত্রী । এছড়াও আসমা ও নাছিমা সালমার বোন । কমলা বেগম সালমার বড় ভাবি।
নিহত যাত্রীদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে। তবে চালকের ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ আশরাফুল আলম।
পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে একই পরিবারের ১০ জন গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল ১১টার দিকে মুকসুদপুরের ছাগলছিড়া এলাকায় বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া গ্লোবাল পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাসের সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ নারী যাত্রী ও মাইক্রোবাসের চালক নিহত হন। এসময় গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ও নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। এদের মধ্যে আহত বেশ কয়েকজনকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা মাদারীপুর থেকে ঘটনাস্থলে এসে ৪ নারীসহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। এছাড়া দুজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চালকের ঠিকানা এখনো পাইনি। তবে বাকি ৪ নারীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুরে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ আশরাফুল আলম বলেন নিহতদের লাশ হাইওয়ে থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠাচ্ছে।