নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেহাবি) গাড়িচালক পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইন এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দুপুরে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ (৫৫) নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মামলার বাদী আল আমিন (২৬) বারহাট্রা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
মামলার বরাতে ওসি জানান, শিক্ষক সাজ্জাদুল ও আল আমিন পূর্ব পরিচিত। সাজ্জাদুলের কথামতো শেহাবিতে গাড়িচালক পদে আবেদন করেন আল আমিন। পরে গত বছরের শুরুতে চাকরি পাইয়ে দিতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ বাবদ ৫ লাখ টাকা নেন তিনি। কিন্তু চাকরি না হওয়ায় শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. কামাল হোসাইনের আদালতে মামলা দায়ের করেন আল আমিন। আদালতের বিচারক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জরি করেন।
মামলার বাদী আল আমিন বলেন, ‘সাজ্জাদুল হককে এলাকার অনেকের সামনে টাকা দিয়েছি। চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন। এখন চাকরিও হয়নি, টাকাও দিচ্ছেন না। আদালতে মামলা করেছি।’
এদিকে, অভিযুক্ত এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুইদিন আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছেছে। এলাকা ছেড়ে সাজ্জাদুল হক পালিয়েছেন। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যসহ সব উপায়েই চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুতই তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’