বুধবার , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

তানোরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী লীগ কর্মী খুন

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪ ৩:০৪ অপরাহ্ণ


রাজশাহী প্রতিনিধি :

রাজশাহীর তানোরে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে উপজেলা সদরের শহীর মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামে খুন হন আওয়ামী লীগ কর্মী জিয়াউর রহমান (৩৬)।

নিহত জিয়াউর তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের মহির আলি মণ্ডলের ছেলে। তিনি গত সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর চাচাতো ভাই। এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর পক্ষে কাজ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এনিয়ে একাধিকবার তাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একুশের প্রথম প্রহরে তানোর উপজেলা সদরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান জিয়াউর। সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার পথে গভীর রাতে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।

বুধবার ভোরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। গ্রামের পাকা রাস্তার পাশে তার মরদেহ পড়ে ছিল। মরদেহের পাশেই পড়ে ছিল তার মোটরসাইকেলটি।

জিয়াউর রহমানের চাচাত ভাই রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে জিয়াউর নিজ এলাকায় তার পক্ষে ব্যাপকভাবে কাজ করে এবং মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ওই নির্বাচনে তার ব্যাপক ভূমিকার কারণে লালপুর স্কুল ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচি প্রতীক নৌকা প্রতীকের চেয়ে ৭-৮শ ভোট বেশি পেয়েছিল। ছেলেটা স্থানীয়ভাবে খুবই জনপ্রিয় ছিল। ভোটের পর থেকে তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। লালপুর বাজারে যেতে পারতো না। ও আমাকেও বলতো যে, তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি ওকে ওদিকে যেতে নিষেধ করেছিলাম। প্রতিপক্ষের ব্যাপক হুমকিতে ছিল ছেলেটা। এলাকার লোকজনও বলছে এসব ঘটনার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের গোদাগাড়ী সার্কেলের এএসপি সোহেল রানা জানান, রাত ২টার দিকে খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এ ঘটনায় তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।

এএসপি সোহেল রানা জানান, নিহত জিয়াউর রহমানের শরীরের সামনে পেছনে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় যে আঘাত সেটি মনে হচ্ছে ধারালো অস্ত্রের আঘাত।

সর্বশেষ - জাতীয়