রবিবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

তালতলীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫ ১:০৮ অপরাহ্ণ

বরগুনা প্রতিনিধি :

বরগুনার তালতলীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরাফাত খান (২২) নামে এক যুবককে টেঁটা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা হাবিব উল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আরাফাত খান শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরগাছা গ্রামের জলিল খানের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক খানের ভাতিজা। পেশায় তিনি একজন হাঁসের খামারি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শারিখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরগাছা গ্রামের জলিল খানের ছেলে আরাফাত খান শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় তার বন্ধু হাবিুল্লাহকে নিয়ে কচুপাত্রা পুরাতন বাজারের শহিদ সিকদারের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের শহিদ সিকদার এবং তার ছেলে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরাফাত সিকদার, সোহেল সিকদার এবং ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী আরাফাত খানের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে আরাফাতকে মাছ ধরা টেঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হত্যা করে তাকে। এসময় তার বন্ধু হাবিবুল্লাহ আরাফাত রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আরাফাতের ওপর হামলার সময় ঘটনাস্থলে অনেক লোক থাকলেও তারা ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি।

স্বজনরা খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় অরাফাত এবং হাবিুল্লাহকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান আরাফাত খানকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং হাবিবুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আরাফাতের বাবা আব্দুল জলিল খান বলেন, শহিদ সিকদার তার ছেলে আরাফাত সিকদার, সোহেল সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদার তারা এলাকাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। বিনা কারণে মোর পোলাডারে খুন করছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নিহত আরাফাত খানের মা ছালমা বেগম কান্না গড়িত কণ্ঠে বলেন, মোর বুকটারে কির লইগ্যা অরা খালি করছে। মুই অগো বিচার চাই।

শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক খান জানান, নিহত আরাফাত খান আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। শত্রুতার জেরেই শহীদ সিকদার তার ছেলে ও ভাতিজা মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, নিহত আরাফাত খানের মাথায় শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ - জেলার খবর