মো:নাইমুল হক স্মরণ, র্দুগাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে এক লম্পট কর্তৃক অপহরনের পর ধর্ষনের শিকার হয়েছে একাদশ শ্রেণির আদিবাসী এক কলেজ ছাত্রী। প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে গিয়ে ঘর থেকে বের হয। এসময় পাশের বাওয়া পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৫০) মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণের ৩-৪ ঘন্টার পর ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়।
রবিবার (১২ অক্টোবর) রাত দশটায় উপজেলার পাহাড়ি জনপদ সীমান্তবর্তী রাণীখং গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ধর্ষক বিএনপি নামধারী এক নেতার ছত্রছায়া থেকে ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবারকে মুখ খুললে এবং মামলার জন্য অগ্রসর হলে খুন জখমের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। হুমকিতে ভীত হয়ে ভিকটিমআত্মগোপনে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ভিকটিমের বিদ্যাপীঠ ডন বস্কো কলেজের সহযোগিতায় ধর্ষনের ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ধর্ষনকারী মোহাম্মদ আলী- কে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করে। পুলিশ ভিক্টিম আদিবাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, কুল্লাগড়া ইউনিয়নের রাণী খং গুচ্ছ গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে। ঘটনার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ঘর থেকে বের হয়। সে বিরিশিরি ডন বস্কো স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। ঘটনার দিবাগত রাত অনুমান দশটায় উপজেলার বাওয়া পাড়া গ্রামের জনৈক জ্ঞানেন্দ্র চিসীম পুত্র মোহাম্মদ আলী ভিক্টিমের মুখ বেঁধে, হাত পা চেপে সেখান থেকে অপহরণ করে এবং কয়েক ঘন্টা আটকিয়ে রেখে জোর করে ধর্ষন করে ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ধর্ষনের শিকার আদিবাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো: মাহমুদুর হাসান জানান, “ধর্ষনের শিকার আদিবাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে আজ পাঠানো হয়েছে। আজ একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশ কাজ করছে।