কক্সবাজার থেকে জাফর আলম :
কক্সবাজার প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে দস্যুতাকালে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটকের দাবী করেছে র্যাব-১৫। এসময় দস্যুদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র্যাব।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় কক্সবাজার ফিশারিঘাটে এক ব্রিফিংয়ে র্যাব-১৫ অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত জলদস্যু পেকুয়ার আবছার উদ্দিন বুধুর ছত্রছায়ায় দস্যূতা করতে নামে ৬ জনের দলটি।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গেলো ২১ জানুয়ারি ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হওয়া একটি ডাকাত দলের খবর পান তারা। এর মধ্যে ২২ জানুয়ারি একজন জেলে ডাকাতির শিকার হয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন।এরপর ২৫ জানুয়ারি রাতে বঙ্গোপসাগরের বাঁকখালী মোহনায় অভিযানে যায় র্যাব। প্রযুক্তি ব্যবহার করে দস্যুতাকালে ওই ৬ জনকে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩ টি ধারালো অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করা হয়।র্যাবের অধিনায়ক জানান, এই দস্যুদলের নেতৃত্বে ছিলেন পেকুয়ার আবছার উদ্দিন বুধু। যার নামে ৩০ টি মামলা রয়েছে। বুধুর ছত্র-ছায়ায় দস্যুতা করতে সাগরে নামেন এই দলটি।
এছাড়াও কুতুবদিয়ার ইসহাক,জালাল জলদস্যুদের গডফাদার। যাদের নামেও রয়েছে ১০ টি করে মামলা। তারাই কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে সদস্য সংগ্রহ করে নৌকা, অস্ত্র দিয়ে দস্যুদলকে সাগরে পাঠায়।
র্যাব জানায়, আবছারের একটি ট্রলার নিয়ে সাগরের মাঝপথে এসে কালো কোম্পানির ট্রলার নামক একটি ট্রলার ছিনতাই করে এই দস্যু দল। মূলত ডাকাতিতে আবছারের সম্পৃক্ততা এড়াতে কৌশল হিসেবে ডাকাত দল এভাবে ট্রলার পরিবর্তন করে থাকে।র্যাবের এই অভিযানে আটকরা হলেন, মো: রহিম, মো: আল আমিন, রায়হান উদ্দিন, এরশাদুল ইসলাম, মো: মারুফুল ইসলাম ও মো: শফি।