কুমিল্লা প্রতিনিধি :
ভৈরবে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজদের মাঝে রয়েছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। উদ্ধারকাজ চলমান থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজদের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে। সোহেল রানা ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন।
দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১নং ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টবল সোহেলের মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারাও বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সোহেল রানার পরিবারের কারও মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানতে পেরেছি।
ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, নিখোঁজদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫) রয়েছেন। নৌপুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকায় মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি নৌকা নিয়ে ১৬ জন যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এত নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ-পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তোফাজ্জল হক (২২) নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এসময় রুবা নামের এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগিনাসহ কয়েকজন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকিরা পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি সাজু মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করে।
ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুনিরুজ্জামান ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রানা গতকাল জানান শনিবার (আজ) সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।