শুক্রবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

রাজশাহীর তিন উপজেলায় চারটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ৫, ২০২৪ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ


রাজশাহী প্রতিনিধি :

রাজশাহীর তিন উপজেলায় চারটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। বাঘা, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে বাগমারার ভোটকেন্দ্রটি থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাঘার একটি ভোটকেন্দ্রের অফিসকক্ষ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। অন্য তিনটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

আগুন দেওয়া ভোটকেন্দ্রগুলো হলো— বাঘা উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

এদিকে রাজশাহী-৩ আসনের অন্তর্গত মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, তাদের স্কুলটি ভোটকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে আগুন দেয়। এতে কয়েকটি বেঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিদাহ্য কোনো পদার্থ দিয়ে আগুন দেওয়া হতে পারে বলে প্রধান শিক্ষকের ধারণা।

অন্যদিকে বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে স্কুলের কোনো সম্পদের তেমন ক্ষতি হয়নি। এই ভোটকেন্দ্রের সামনে দুটি তাজা ককটেল পাওয়া গেছে।

এদিকে রাজশাহীর বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পরিত্যক্ত একটি ভবনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এটি মূল ভোটকেন্দ্রের বাইরের অংশ। এই আগুনের ফলে ভোটকেন্দ্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের অফিসে আগুন লেগেছে। এতে কিছু বই ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিটের কারণে এই স্কুলে আগুন ধরেছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো স্কুলে কীভাবে আগুন লেগেছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব দুর্বৃত্তদের কাজ বলে আমরা ধারণা করছি।

সর্বশেষ - জাতীয়