বান্দরবান প্রতিনিধি :
সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর প্রশাসনের নির্দেশে খুলে দেয়া হয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলী এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হওয়ার পর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মুজাহিদ উদ্দিন।
২৩ দিন বন্ধ রাখার পর সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় প্রশাসনের নির্দেশে আজ থেকে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে।
স্কুলগুলো হলো- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় গত ২৯ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পরের দিন থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা থাকলে শিক্ষার্থীদের আসতে দেখা যায়নি।
সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক বাংলাদেশি নারীসহ দুইজন নিহত হন। এর পরে ঘুমধুম সীমান্তের দুটি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে প্রশাসন।
দুইজন নিহত হওয়ার পরে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যালয়গুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।