নিজস্ব প্রতিবেদক :
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চলমান ঋণ সহায়তার পাশাপাশি বাজেট ও ব্যাংক খাতের তারল্য সংকটের জন্য বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বলা হয়েছে, ঋণের জন্য যেসব শর্ত দেয়া হবে, সেগুলো যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া দপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ. ভারজিসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংস্কারগুলোর জন্য সহায়তা দরকার, সহসা একটা বাজেট সাপোর্ট দরকার। লিকুইডিটি সাপোর্ট চেয়েছি। ওরা দিতে সম্মত হয়েছে। আমি চলমান প্যাকেজের বাইরে বাড়তি কিছু সাহায্য চেয়েছি। ওরাও দিতে সম্মত হয়েছে। মোটামুটি ইতিবাচক। ওরা বেশ খোলা মনে আলোচনা করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বমোট দুই বিলিয়ন ডলার সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে এক সাংবাদিক উল্লেখ করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিলিয়ন বা টাকার অংকের কথা বলবো না। এই বছরের জন্য তারা একটা বাজেট সহায়তা দেবে। আমরা আরও কিছু এক্সপেক্ট করেছি। কী কী প্রকল্প আমরা নেবো, সে অনুযায়ী সেটা চূড়ান্ত হবে।’
আর্থিক খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে বিশ্ব ব্যাংক এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা দেবে। এর মধ্যে পলিসি বেসড লোন হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোন হওয়ার কথা রয়েছে।