নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বাজারে কম, যে কারণে বাড়ছে দাম। বাজারে এখন কম দামে সবজি পাওয়া যায় না। এখন প্রায় অধিকাংশ সবজি কিনতে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ওপরে। ঈদের পর থেকে ভোক্তাকে স্বস্তি দেয়া মাছ, মুরগির বাজারও এ সপ্তাহে বাড়তি।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করতে গিয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ বিপাকে পড়ছেন। গত এক সপ্তাহে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা। মাছের চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে খবর নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্রত্যেকটা জিনিসই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মাছ থেকে সবজি সব কিছুর দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে গিয়ে হিমশিম অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে সরবরাহ সংকট, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিগত জলবায়ুগত প্রভাব। তবে এর আগে রমজান মাসে কাঁচাবাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি মিললেও সেই সুখ বেশিদিন টিকলো না।
আজ শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে কাঁকরোল ১৩০-১৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচাকলা হালিপ্রতি ৫০ টাকা, লেবু ১০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া আদা রসুনের দামেও ঊর্ধ্বগতি।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা ছিল। সোনালী মুরগী ৩২০ টাকা, কক ৩৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে এসব বাজারে। তবে গরু ও খাসি আগের দামে ৭৫০ ও ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। নতুন করে না বাড়লেও দাম কমেনি। মাছের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৬০-৩০০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২০০-২৫০, ছোট পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৩০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬০০-৮০০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সুরমা, রুপচাঁদা, লাল কোরাল এবং বাটা মাছ ২০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এসব মাছের দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে দেখা গেছে।