শনিবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত

প্রতিবেদক
Newsdesk
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫ ৮:৪২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় আক্রমণের মধ্য দিয়ে সরাসরি গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের ধারণার ওপর আঘাত হানা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাকস্বাধীনতা ও সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বর দমনের চেষ্টা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় তাই সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা অপরিহার্য।

আজ শনিবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় ক্র্যাব কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। পত্রিকা অফিসে হামলার সময় দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ সময় প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাত শরিফ বলেন, এ হামলা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন দেশ একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে এগোচ্ছে। এ হামলা সেই উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা। এ হামলার পেছনের সব কারণ এখনো জানা যায়নি এবং অনেক অভিযুক্ত গ্রেফতার হননি, তবুও গণমাধ্যমের ওপর যে আঘাত হানা হয়েছে, তা স্পষ্ট।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি দৈনিকের কার্যালয়ে হামলা, লুটপাট ও আগুনের এ ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত। গত ১৬ বছরে দেড় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, হাজার হাজার আহত হয়েছেন। সেই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনের পরও আজ সাংবাদিকদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। পুলিশকে জানানো হলেও তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

যতক্ষণ না দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে, ততক্ষণ প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, অতীতের ফ্যাসিবাদী আমলে সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতন এবং গণমাধ্যম বন্ধের বহু ঘটনার বিচার হয়নি। অতীতে গণমাধ্যম বন্ধ এবং সাংবাদিকদের হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারার খেসারত আজ দিতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে কর্মরত সাংবাদিকদের পুড়িয়ে মারার লক্ষ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে। শুধু এই দুটি পত্রিকায় নয়, যখন নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে যান, তার ওপরও হামলা করা হয়। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, দুই জাতীয় দৈনিকের কার্যালয়ে হামলা ও আগুন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এর আগেও গণমাধ্যমের ওপর হামলা হয়েছে। প্রতিবারই গণমাধ্যম ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এবারও দাঁড়াবে। শুধু হামলাকারী নয়, নেপথ্যের উসকানিদাতা ও পরিকল্পনাকারীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ক্র্যাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন বলেন, একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ হামলা প্রতিহত না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অবস্থান নিয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো বক্তব্য দেন প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি, হেড অব ক্রাইম অ্যান্ড পলিটিক্স টিপু সুলতান, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি মধুসূদন মন্ডল, খায়রুজ্জামান কামাল, কামরুজ্জামান খান, ডিআরইউর সাবেক সহ–সভাপতি ওসমান গণি বাবুল, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ, আসাদুজ্জামান বিকু, ক্র্যাবের সহসভাপতি উমর ফারুক আলহাদী, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নজরুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‍্যাক) সভাপতি শাফি উদ্দিন আহমদ, ক্র্যাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, কার্যনির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ক্র্যাবের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, ক্র্যাবের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আমানুর রহমান রনি প্রমুখ।

সর্বশেষ - জেলার খবর