বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ায় দাদী ও নাতবৌকে গলাকেটে হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সৈকত হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোরে শহরের খান্দার পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সৈকত হাসান বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মো. সোহেল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান। তিনি বলেন, “সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিকভাবে সৈকত জানিয়েছে, ওই মেয়েটির সাথে তার সম্পর্ক ছিলো। আবার নিহতের পরিবার বলছে তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এই ঘটনা। আমরা তদন্ত করছি। আসামিকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।”
এর আগে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার পর সদরের ইসলামপুর হরিগাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে দাদী শাশুড়ী লাইলী বেওয়া ও নাতবৌ হাবিবা ইয়াসমিন নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন বন্যা আক্তার নামের এক কিশোরী।
বন্যার ফুপাতো ভাই খোকন মিয়া জানান, বন্যা এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। একই এলাকার সোহেলের ছেলে সৈকত নামের এক বন্যাকে পছন্দ করতো এবং প্রায়ই বিরক্ত করতো। বুধবার বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় সৈকতসহ আরও ৭/৮জন বাড়িতে প্রবেশ করে। তখন বন্যার ভাবী হাবিবা তাদের দেখে গালিগালাজ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে হাবিবাকে গলায় ছুরিকাঘাত করে। এরপর লাইলী বেওয়াকেও গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন বন্যা ছুটে গেলে বন্যার পেটেও ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়।