বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়ক থেকে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি মো. মঞ্জুরুল ইসলামের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের দুই দিন পেরি গেলেও কোনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শিগগিরই থানায় তাঁরা মামলা করবেন।
গত বুধবার রাতে উপজেলায় মুরইল এলাকায় মঞ্জুরুল ইসলামের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা । মরদেহের পাশেই পাওয়া যায় তাঁর মোটরসাইকেল এবং হেলমেট। যেখানে মঞ্জুরুলের লাশ পাওয়া যায় সেখানে টায়ারের দাগও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বগুড়ার আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস কুমার চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক তদন্তে মঞ্জুরুলের মৃত্যুর কারণ সড়ক দুর্ঘটনা বলে তাদের মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছে পুলিশ।
রাজেস কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘লাশের কাছে মোটরসাইকেল পড়েছিল। কোনো একটা কিছুর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাইকটির হ্যান্ডেল ও পেছনের অংশ। এসব কারণে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে কোন যানবাহনের চাকা চলে গেছে।’
এদিকে মঞ্জুরুলের ছেলে মো. মেজবাউল মোরসালিন দাবি করেছেন, তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
কেন এবং কে তার বাবাকে হত্যা করতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে মোরসালিন বলেন, ‘কেন হত্যা করা হয়েছে বা কারা করেছে, তা তাঁদের জানা নেই। তবে লাশের শরীর এবং ক্ষত দেখে মনে হয়েছে এটা হত্যাকাণ্ড।’
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, মঞ্জুরুল ইসলাম প্রায় ১৫ বছর ধরে আদমদিঘী উপজেলায় সাংবাদিকতা করছেন ভোরের কাগজ প্রতিনিধি হিসেবে। এই দায়িত্ব পালনের আগে তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক বগুড়া পত্রিকাতেও কাজ করেছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি সংগঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন বেশ কিছু দিন।