ডেস্ক রিপোর্ট :
নতুন বছরের প্রথম দিনে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে আনন্দোৎসবে শুরু হয়েছে বই উৎসব। প্রাথমিক ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই সব বই হাতে পাচ্ছে। বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও।
সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাথমিক পর্যায়ের বই উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সারাদেশে এই আনন্দ আয়োজন চলবে বিকেল পর্যন্ত।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির শতভাগ বই উপজেলায় পৌঁছে দিয়েছেন তারা। উপজেলা শিক্ষা অফিস সমন্বয় করে বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক বিলি করছে। তবে অষ্টম-নবমের ২০-২৫ শতাংশ বই এখনো ছাপা হয়নি। সেগুলো চলতি মাসেই ছাপা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কুমিল্লা
উৎসবমুখর পরিবেশে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীসহ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ বইছে।
সোমবার সকালে কুমিল্লা নগরীর আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস হাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার মেরী রীনা মারীয়া কাস্তা।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বমোট এক কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৩৩টি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭৮৩ জন শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে হাইস্কুল এবতেদায়ি, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাত লাখ ৯২ হাজার ৬৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৮৪টি নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ২৪৯টি নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণির সাত লাখ ৭২ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কুমিল্লায় মাধ্যমিক পর্যায়ের সব সরকারি বেসরকারি হাই স্কুল, এবতেদায়ি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সাত লাখ ৯২ হাজার ৬৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৮৪টি নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
যশোর
যশোরে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে বই উৎসবের মাধ্যমে জেলার ৫০ লাখ ২০ হাজার ৭৯১ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যপুস্তক।
যশোরে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ পিস বইয়ের চাহিদা ছিল। তার শতভাগ হাতে পেয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ২৪০ পিস বইয়ের চাহিদা ছিল। যার মধ্যে অষ্টম, নবম শ্রেণির ইংরেজি বই বাদে সব বই এসে পৌঁছেছে। বছরের প্রথম দিনের বই উৎসবের মাধ্যমে সেই বইয়ের সব শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এদিন সকাল ৯টায় যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বই উৎসবের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
হাকিমপুর (হিলি)
সারাদেশের মতো দিনাজপুরেরর হিলিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
সোমবার সকাল ১০টায় হাকিমপুর উপজেলার বাংলাহিলি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের বই বিতরণের মধ্য দিয়ে বই উৎসব উদ্বোধন করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন ও নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। এবারে উপজেলায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১২৩টি প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৩৭ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ
নগরীরর নওমহল মডেল সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বিভাগীয় পর্যায়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেছেন বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া।
জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বেলুন উড়িয়ে স্কুলের ৫০০ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
চার হাজার এর বেশি প্রাথমিক স্কুলে বই উৎসবে জেলার ৬ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর হাতে ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ৮৪০ টি নতুন বই বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রাক প্রাথমিকে প্রায় এক লাখ নতুন বইসহ ৪ শতাধিক মাধ্যমিক স্কুলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়।
বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়।
সিরাজগঞ্জ
‘নতুন বই সবাই নেব লেখাপড়ায় মন দেব’ স্লোগানে নতুন বছরে প্রথম দিনে সারাদেশের মতো সিরাজগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে বই উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন।
নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, বছর শুরুর দিনে নতুন বই পেয়ে ও নতুন বইয়ের গন্ধে তারা অনেকটাই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। এ নতুন বইয়ের মাধ্যমে তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ আসবে।
হবিগঞ্জে
সকােল হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা।
জেলা প্রশাসক দেশের সম্পদে কেনা পাঠ্য বইয়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সব শিক্ষার্থীর প্রতি আহবান জানান। পরে অন্য অতিথিদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করেন।
ফেনী
ফেনীতে বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিশু-কিশোররা।
সোমবার সকাল ১০টায় ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুলে বই বিতরণ উৎসবের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, ফেনীতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৩৯২ টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পেয়েছে ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭৯টি বই। যা শতকরা ৬২.৩৩ শতাংশ।
তবে প্রাথমিকে জেলায় মোট চাহিদা ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৩টির মধ্যে সবগুলো বই পেয়েছে বিদ্যালয়গুলো।
খাগড়াছড়ি
পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে এবারও বছরের প্রথমদিনে পাঠ্য বই বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণিতে একযোগে বই বিতরণ করা হয়।
সোমবার সকালে জেলা শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন পাঠ্য বই তুলে দেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান।
এদিকে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের সহধর্মিনী ফারহানা আক্তার চৌধুরী।
এবছর জেলার সরকারি ও বেসরকারি মিলে ৭০৬ প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ও ১৩০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৪২৪ শিশুর মধ্যে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৭টি বই বিতরণের কথা রয়েছে।
এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৮৭ হাজার ২৪০ শিক্ষার্থী পাবে নতুন বই। এদিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৩৮ হাজার ২৯১ জন শিশু এবারও পাবে মাতৃভাষার বই।
মানিকগঞ্জ
নাচে গানে উৎসবমুখর পরিবেশে মানিকগঞ্জে শুরু হয়েছে বই উৎসব। সোমবার বেলা ১১ টায় মানিকগঞ্জ শহরের ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার।
এরপর মানিকগঞ্জ বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বই উৎসবে শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বই তুলে দেয়া হয়।
বর্ণিল আয়োজনে শিশুরা নেচেগেয়ে উৎসবের সূচনা করে।
একই সঙ্গে জেলার সাত উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে নতুন বই তুলে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
মানিকগঞ্জ জেলায় এ বছর এক হাজার পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক লাখ ৮২ হাজার ২৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে সাত লাখ ৮৭ হাজার ৬১টি পাঠ্যবই তুলে দেয়া হচ্ছে।
মেহেরপুর
মেহেরপুরে বছরের প্রথম দিনেই শিশু-কিশোরদের হাতে পৌঁছে গেছে নতুন বই। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছেছে ৫৬ ভাগ বই। বাকি বইগুলো দ্রুত পৌছে যাবে বলে দাবি মেহেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরপুর বিএম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, নতুন বইয়ের কারিকুলাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যুগপোযোগী শিক্ষার সঙ্গে তাল মেলাতে অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এটি তারই অংশ। এটি সবাইকে মনে রাখতে হবে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়বো।
জেলায় ৪৪৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই প্রয়োজন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯১ টি। আর মাদ্রাসা, কারিগরি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭০টি। বই প্রয়োজন ৮ লাখ ৯৬৭ হাজার।
নরসিংদী
সারাদেশের মতো নরসিংদীতেও পাঠ্যবই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় শহরের ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম।
নতুন বছরের প্রথম দিন হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত অভিবাবকরাও।
নরসিংদীতে এ বছর প্রাথমিকে ১২ লাখ ৭৪ হাজার ২০৮ সেট বই বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে নতুন বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পেয়েছে শিশু-কিশোররা। সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার, প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ প্রমুখ।
এ বছর প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫০ জন। বরাদ্দ অনুযায়ী বই পাওয়া গেছে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৮০টি।
মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫২ জন। বইয়ের চাহিদা ছিল ৩৫ লাখ ২৫ হাজার। পাওয়া গেছে ৩০ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫টি।
রংপুর
নতুন বছরের প্রথম দিনেই সারাদেশের মতো রংপুরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরন শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে রংপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান ।
তিনি বলেন, নতুন বছরেই প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেরা উপহার। নতুন পেয়ে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়ায় আরও বেশি বেশি মনোনিবেশ করবে।
এদিকে বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছে তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিকপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে জেলার ৯টি উপজেলায় ২ হাজার ৫৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮ লাখ ৩ হাজার ৫৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬২ লাখ ১৩ হাজার ৩৫৫টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মান সম্মত উন্নত শিক্ষা চাই। আজকের শিক্ষার্থীদেরকে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তৈরি করতে হবে।
মৌলভীবাজার
নতুন বছরের প্রথম দিনে সারাদেশের মতো সোমবার মৌলভীবাজারে উদযাপিত হয়েছে বই উৎসব। সকালে শহরের আলী আমজদ সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।
জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে আলী আমজদ সরকারি বিদ্যালয় মাঠে উৎসবমূখর পরিবেশে নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়।
জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে বই উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সোমবার সকালে জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সবুর আলী।
অপরদিকে জয়পুরহাট সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীতে বই উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সোমবার ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হাতে উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১০টায় নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
এসময় জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় একযোগে সবগুলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ আয়োজনকে ঘিরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম
বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে-উচ্ছ্বাসে মেতেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। হাতে বই পেয়ে আনন্দিত সন্তানদের মুখ দেখে খুশি অভিভাবকরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই উৎসব শুরু হলেও নতুন বই নিতে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা হাজির হন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। নতুন বই হাতে পাওয়াকে বর্ষ শুরুর সেরা উপহার বলছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। নতুন বই পড়ালেখায় নিজেদেরকে অনুপ্রাণিত হতে সাহায্য করবে। নতুন সিলেবাস, নতুন পড়া, নতুন ছবি, নতুন বইয়ের ঘ্রাণ সব মিলিয়ে দারুণ খুশি, জানায় শিক্ষার্থীরা।
রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমানতবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ চৌধুরী জানান, এবছর জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৯ টি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৪৬৮ টি বই বিতরণ করা হবে।
সাতক্ষীরা
সোমবার সকাল ১০টায় সিলভার জুবলি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণের মধ্য দিয়ে জেলায় বই উৎসেবর উদ্বোধন করেেছন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ুন কবির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন কারিমি,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুঁইয়াসহ অন্যরা ।
এছাড়া এক যোগে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়সহ জেলার বিভিন্ন স্কুলে বই বিতরণ করা হয়। এবার জেলায় ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।
ভোলা
ভোলায় উৎসব মুখর পরিবেশে বছরের প্রথম দিনে স্কুলে স্কুলে বই বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে ভোলা সরকারি বালিকা ও বালক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান কোমলমতি শিশুদের হাতে বই তুলে দেন। এ সময় নতুন বইয়ের ঘ্রাণে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠে ঢোল বাদ্যের তালে তালে উৎসবে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ ভোলা জেলায় ৭ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বই উপহার দেয়া হচ্ছে।
মাদারীপুর
মাদারীপুর জেলার ৫টি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল।
মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, মাদারীপুর জেলা প্রশাসন এবং শিবচর, রাজৈর কালকিনি ও ডাসার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়।
এবছর প্রায় ৩ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ বই হাতে পেয়েছেন বলে তারা খুশি। শিবচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বই বিতরণ কালে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন।
রাজশাহী
রাজশাহীতে বই উৎসবের উদ্বোধন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বেলুন উড়িয়ে এ বই উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। এ সময় কলেজটির অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা উপস্থিত ছিলেন। পরে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন রাসিক মেয়র। বই পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা।