নিজস্ব প্রতিবেদক :
সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল থাকলেও এর তেমন কার্যকারিতা নেই। এমনকি শিক্ষার্থীরা জানেও না এই সেল সম্পর্কে। অন্যদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ৮০ শতাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই এই সেল। ফলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দেওয়ার জায়গাও পান না।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বহিস্কারসহ নানা হুমকি দেয়ার অভিযোগে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বরাবর অভিযোগও দিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী।
এদিকে দেশে ৬০ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল আছে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। শুধু মাত্র শীর্ষ ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে ২৭টির মত অভিযোগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, ‘অনেক ঘটনাই ঘটে কিন্তু কেউ অভিযোগ করে না। ভয়ে কিংবা সমাজের নানা ট্যাবুর কারণে করে না। কিংবা অভিযোগ করলেও সঠিক বিচার হবে কি না এ আশংকা রয়ে যায়।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল থাকলেও এর তেমন কার্যক্রমই নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এরকম সেল আছে বলে শুনেছি। কিন্তু এটার অ্যাকটিভিটি আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারি না। প্রত্যেকটা সেলেরই কার্যকারিতা বাড়ানো উচিত।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলছেন, এই সেলকে কার্যকর করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উপাচার্য বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগে যে ছাত্র উপদেষ্টা আছে তাদেরকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষণ দেবো যাতে কোনো শিক্ষার্থী যদি বিরূপ আচরণের মুখোমুখি হয় তাৎক্ষনিকভাবে সেটা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হয়।’
এদিকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪ টি। এর বেশিরভাগেই নেই যৌন নিপীড়ন সেল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয়া হবে।
কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনা আলোকে আবার পত্র দেবো, নথি উপস্থাপন করে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে অনতিবিলম্বে কমিটি গঠন করে আমাদেরকে জানাতে হবে।’
এদিকে ইউজিসিরও একটি যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল আছে। কোন শিক্ষার্থী চাইলে সেখানেও অভিযোগ জানাতে পারে।