সোমবার , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

পর্যায়ক্রমে ভোলার গ্যাসক্ষেত্রের সক্ষমতা বাড়বে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ


ভোলা প্রতিনিধি :

ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করে ঢাকা ও আশপাশের শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এর সক্ষমতা বাড়িয়ে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা যাবে বলে আশা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের। দামে বেশি হলেও সরবরাহের নিশ্চয়তা থাকায় এখন এই গ্যাসে আগ্রহী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।

ভোলার শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে সিএনজি রূপান্তর কেন্দ্রে। সেখান থেকে ৪৫টি লরিতে করে দুইশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই গ্যাস যাচ্ছে ঢাকার আশপাশের শিল্প কারখানায়।

সম্প্রতি এই সিএনজি কেন্দ্র দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোলায় এখন যে গ্যাস আছে তার সাথে আরও অন্তত ৩শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা গেলে পাইপ লাইন বসানো সম্ভব। তবে এতেও সময় লাগবে অন্তত তিন বছর। প্রাথমিকভাবে পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঢাকায় গেলেও পর্যায়ক্রমে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নেয়ার পরিকল্পনা আছে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকায় গ্যাস নেওয়ার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই আমরা যেসব জায়গায় বেশি প্রয়োজন সেখানে গ্যাস নেওয়ার চেষ্টা করছি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো প্রতি হাজার ঘনমিটার গ্যাস ১৭ টাকায় কিনে সিএনজিতে রূপান্তর করে শিল্প কারখানায় পৌঁছে দিয়ে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা দাম নিচ্ছে।

তবে পাইপ লাইনে এটি করা গেলে খরচ পড়বে প্রতি ঘনমিটারে ৩০ টাকা। সড়ক পথে পরিবহনের ব্যয় ও প্রতিষ্ঠানের লাভের হিসেব করে দাম ঠিক করেছে পেট্রোবাংলা।

ইন্ট্রকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াদ আলী জানান, শিল্পকারখানায় তেলের ব্যবহার চেয়ে সিএনজি বেশ লাভজনক।

সড়ক পথে দুই থেকে আড়াইশ’ কিলোমিটার দূরে এই সিএনজি নেয়ার জন্য নিরাপত্তার বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার ভোলার গ্যাস ভোলাতেই বিতরণের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ভোলার শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকাকে গ্যাস বিতরণে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ছয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। পাঁচটি কূপ থেকে মিলছে গ্যাসের উৎপাদন। এছাড়াও ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্রে দুইটি ও ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে একটি কূপ খনন করা হয়েছে। চাহিদা কম থাকায় সেখানে গ্যাস তোলার প্রসেস প্লান্ট হয়নি।

ভোলার মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা বাসাবাড়িতে গ্যাস ব্যবহার করা। সম্প্রতি ভোলা গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে গিয়ে ভোলাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে ভোলার বাসাবাড়িতে গ্যাস দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত