নিজস্ব প্রতিবেদক :
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে রাতভর। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ভারী গোলাবারুদ বিস্ফোরনের বিকট শব্দে রাতে কিছুক্ষণ পর পর কেঁপে উঠছিল তুমব্রু উত্তরকুল, দক্ষিণকুল, কোনাপাড়া ও ঘুমধুম ঢেকুবুনিয়া এলাকা। কনকনে শীতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সীমান্তবর্তী শত শত পরিবার। বর্তমানে পুরো সীমান্ত এলাকা থমথমে। গোলাগুলিও এখন বন্ধ রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্ত জুড়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, রবিবার রাতে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ঢেকুবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্পে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। নতুন করে এই ক্যাম্পটিতে আক্রমণ করায় সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের জেরে রবিবার সকাল থেকে আজ ভোর পর্যন্ত তুমব্রু সার্চ ক্যাম্পের মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপির মোট ৯৫ সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে ঢুকেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণের পর নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। আহতদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার জন্য উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের তুমব্রু সার্চ ক্যাম্পে ১৭০জনের মতো বিজিপির সদস্য অবস্থান করছিলো।