জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় সম্প্রতি ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীনের ভাড়া বাড়িতে চুরি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জয়পুরহাট শহরের বাসস্ট্যান্ডের হাউজিং এস্টেট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ৫ ভরি স্বর্ণালকঙ্কার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করেন তিনজন দুর্বৃত্ত। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিবেশী পুলিশ কনস্টেবল আরিফুলকে ফোন দেন বিচারক দম্পতি। এরই মধ্যে দুর্বৃত্তরা তার শয়নকক্ষে ঢুকে বিচারক আব্বাস উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বেদিনসহ ১১ জনের গত ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ায় ছোরা দেখিয়ে বিচারককেও ফাঁসি দিবেন বলে হুমকি দেন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল আরিফুল এসে চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই আদালতের সেরেস্তা সহকারী আফরোজা সুলতানা মিলির মাধ্যমে থানায় মামলার লিখিত কপি পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জানালার গ্রিলের কাটা অংশ মেরামত করা দেখা যায়।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, সোমবার রাতে বিচারক আব্বাস উদ্দীনের বাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছেন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন পুলিশ।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল এবং পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এটি রহস্যজনক ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। গভীরভাবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই বিচারকের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।