সোমবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

৫৯ বছর পর খুলল সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌবন্দর

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪ ২:০১ অপরাহ্ণ


রাজশাহী প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলে চালু হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত সুলতানগঞ্জ পোর্ট। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথ দিয়ে আনুষ্ঠানিক নৌযান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিন সাড়ে ১১টন গার্মেন্টস জুট এ নৌপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত পাঠানো হয়েছে।

এর আগে পদ্মা ও মহানন্দার মোহনায় অবস্থিত গোদাগাড়ী উপজেলায় সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর এবং ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারসহ রাজশাহীর স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান ও মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত নৌরুটে নৌযান চালু ও রাজশাহীতে আন্তজার্তিক নৌবন্দর প্রতিষ্ঠায় গত পাঁচ বছর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এটি মেয়র লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর চালু ও সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে নৌযান চলাচল শুরুর মাধ্যমে মেয়র লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলো এবং পূরণ হলো রাজশাহীবাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন।

এ দিকে সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর ও সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে নৌযান চলাচলের উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে বিআইডব্লিউটিএ। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মসচিব সেলিম ফকির।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগপর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-মায়া গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। আজ বাংলাদেশ সীমান্তের সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো। উদ্বোধনের পরে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ঘাটটি নদী বন্দরের মর্যাদা পেলো।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলার সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দরের মাধ্যমে এসব পণ্য ভারত থেকে আমদানিতে সময় ও খরচ কমে যাবে। এতে উপকৃত হবেন বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এ নৌপথে দুদেশের মধ্যে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশের রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধুলিয়ান নৌরুটে বাণিজ্য চালুর। রাজশাহী থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতা সংকটের কারণে কার্যকর করা হয়নি। ফলে রুটটি সংক্ষিপ্ত করে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা নেওয়া হবে। শুরুতে এ নৌপথে ভারত থেকে পাথর বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী আনা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুলতানগঞ্জ থেকে মায়া নৌঘাটের নদীপথে দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। সুলতানগঞ্জ নৌঘাটটি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণের পদ্মার শাখা নদী মহানন্দার মোহনার কাছাকাছি। সারাবছর সুলতানগঞ্জের এই পয়েন্টে গভীর পানি থাকে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মায়া নৌঘাটটি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা শহরের কাছে ভারতীয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত। ফলে সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে নৌবাণিজ্য শুরু হওয়ায় পরিবহন খরচ অনেকাংশে কমে যাবে। এতে রাজশাহীর অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

সর্বশেষ - জাতীয়