নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ছয় দিনের কর্মসূচি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করবেন সরকারপ্রধান। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামলূক ভাষণ দেবেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন করবেন।
এবার প্যারেড কমান্ডার হিসেবে কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দিবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মো. সোহেল রানা।
পুলিশ সদরদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিতে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে এবার ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী তাদের পদক পরিয়ে দেবেন।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং আইজিপি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
পুলিশ সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি হল– ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আইজিপির সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সম্মেলন। আইজি’স ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ।
এছাড়া পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধিবেশনে গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। পুলিশ সপ্তাহ ৩ মার্চ শেষ হবে।