বুধবার , ১৫ মে ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

মির্জাগঞ্জকে একটি মডেল ও স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তর করব : খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ১৫, ২০২৪ ১০:১৩ অপরাহ্ণ

আলমগীর হোসেন :

বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রাজনীতির বাইরে রাষ্ট্রের উন্নয়ন অনেকটাই দুরুহ । বিশেষ করে আমাদের মতো মধ্যম আয়ের দেশে । অনুকূল পরিবেশে সুস্থ্য ও স্বচ্ছ রাজনীতিই তৈরি করতে পারে আগামীর রূপকাঠামো। এ ক্ষেত্রে দেশের যুব সমাজের ব্যাপক অংশগ্রহণ রাজনীতি এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে মূল লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে নিতে সাহায্য করে। এখনকার সময়ে দেশে রাজনীতিতে যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে তাতে করে যুবসমাজের ব্যাপক অংশগ্রণ অনিশ্চতায় পড়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় চিত্রিত আবহ বদলে যাচ্ছে। দেশব্যাপী রাজনৈতিক কর্মীদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যুবনেতৃত্বের সংখ্যাধিক্য। শেখ হাসিনা আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারিগর তিনি তৈরি করছেন এখন থেকেই। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে প্রান্তিক পর্যায় থেকে সংসদ পর্যন্ত তিনি নিয়ে এসেছেন যুব নেতৃত্ব। এরাই গড়বে আগামীর আধুনিক বাংলাদেশ। খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী শেখ হাসিনার পরীক্ষিত আদর্শসৈনিক- মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান। সম্প্রতি খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকীর সাথে কথা হয় অপরাধচিত্র’র নির্বাহী সম্পাদক আলমগীর হোসেনের সাথে।
রাজনীতির পথপরিক্রমায় আপনার পথচলা কতো মসৃণ জানতে চাইলে খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, আমার বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিবারে। পারিবারিকভাবে আমাদের পরিবারের প্রায় সকল সদস্যই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। জাতির পিতার আদর্শের অনুসারি। আমাদের পরিবারের সকলেই শত বাধার মুখে পড়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেনি। আমার মন-মননে বঙ্গবন্ধুর বাস। জননেত্রী শেখ হাসিনার নীতি-আদর্শ অনুসরণ করতেই কলেজ জীবনের শুরুতে ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। ২০০০-২০০১-এ আমি সুবিদখালী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ছিলাম উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি সাফল্যের সাথে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। ২০১৪ সাল হতে ২০১৯ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আস্থার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমি দ্বিতীয় বারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এর বাইরে আমি জেলা আওয়ামী লীগ, পটুয়াখালীর সাবেক সদস্য এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ, পটুয়াখালী।
রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবীদদের হাতে নেই- এমন কথা প্রায়ই বলতে শোনা যায়। পাশাপাশি রাজনীতিতে চলছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত। এমন পরিবেশে আপনার রাজনৈতিক জার্নিটা কতোটা সুখকর? এ প্রশ্নে খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই আছে। সচেতন মানুষমাত্রই রাজনীতিসংশ্লিষ্ট। রাজনৈতিক সচেতনতা ছাড়া দেশ-সমাজ-রাষ্ট্রের উন্নয়ন ভাবা বৃথা। তবে হ্যাঁ রাজনীতিতে যে খানিকা দুর্বৃত্তায়ন ঘটেনি এমনও না। যে রাজনীতি দেশের জন্য মঙ্গলময় না, যে রাজনীতি সমাজের জন্য আদর্শ বয়ে আনে না, যে রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায় না সেই রাজনীতিই দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি।
রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি অপরাজনীতির আশ্রয় নেই তা হলে রাজনীতি কলুষিত হতে বাধ্য। রাজনীতির পথচলায় আমাকে শিকার হতে হয়েছে প্রতিহিংসার। ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের সকল অংঙ্গ সংগঠনের কর্মীদের ঢালাওভাবে নির্যাতন শুরু করে। আমার উপর চালায় হামলা-মামলার আক্রমণ। শারিরীক নির্যাতন ও মামলাসহ নানাবিধ হয়রানী সহ্য করে নিজ এলাকায় অবস্থান করে দলকে সংঘবদ্ধ করেছি। দলীয় নিদের্শনা মোতাবেক সকল প্রকার মিছিল-মিটিং, সভা-সেমিনার পরিচালনা করেছি। যে সকল দলীয় কর্মী মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেছেন তাদের পরিবারবর্গের প্রতি আর্থিক সাহায্যসহ সার্বিক সহযোগিতা করেছি। তৎকালীন বিএনপি জামাতের আমলে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস সুবিদখালী বাজারে বিনা ভাড়ায় নিজস্ব ভবনে প্রায় ১৪ বছর নিজ অর্থায়নে পরিচালনা করেছি। এসব করেছি দলের প্রতি ঐকান্তিক আস্থায় অবিচল থেকেই। স্বপ্ন বুনেছি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে।
বলছিলেন বেড়ে উঠেছেন রাজনৈতিক পরিবারের। আপনার পরিবারের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন উল্লেখযোগ্যদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মরহুম হাবিবুর রহমান এমপি রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তৎকালীন আমাদের বাসায় অবস্থান করতেন এবং এখান থেকেই দলীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। আমার দাদা মরহুম এনায়েত হোসেন খান ৪৭ পরিবর্তী ইউনিয়ন পরিষদের চারবার চেয়ারম্যান (প্রেসিডেন্ট) ছিলেন। আমার নানা মরহুম জেন্নাত আলী খান দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্যাতিত হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভিন্নভাবে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমার বাবা মরহুম আবুল হাসেম খান তৎকালীন মরহুম আজাহার উদ্দীন মাস্টার এর উপজেলা আওয়ামী লীগ মির্জাগঞ্জ (১৯৭৩সাল) কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাচা মরহুম আঃ কাদের খান একবার ও চাচাতো ভাই মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। মামা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান বর্তমান দেউলীসুবিদখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
রাজনীতিতে কমিটমেন্ট একটি বড় বিষয়। অনেক সময়ই রাজনীতিকরা কমিটমেন্ট রক্ষা করেন না। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, যারা কমিটমেন্ট রক্ষা করতে পারেন না বা করেন না তাদের রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য দেশের উন্নয়নের জন্য। কে কি করলো বা করলো না তা আমার বিবেচ্য নয় আমারে বেলায় বলতে হলে বলবো আমি আমার ওয়াদা থেকে একবিন্দু সরে আসিনি। অনেকেই জানেন তবুও বলছি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনাদী, উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট কোর্ট, পোস্ট অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের জমির উপরই অবস্থিত।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে মির্জাগঞ্জকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে রুপান্তর করার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম উন্নত ও মাদক মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করার নিমিত্তে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছি যা চলমান রয়েছে।
নারী শিক্ষা কার্যক্রম বেগবান করার জন্য ১৯৭২ সালে পৈতৃক জমিতে মায়ের নামে উপজেলায় প্রথম রোকেয়া খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইতোমধ্যে উপজেলায় একটি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সাথে একমত পোষন করে অত্র মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে প্রায় শতভাগ মাদকমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময় আপনি উন্নয়নমূলক কি কি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিপূর্ণ বিবরণ এই মহূর্তে দেয়া সম্ভব নয়। আমার চেয়ে আমার এলাকার মানুষই বলতে পারবে আমি কতোটা তাদের জন্য করতে পেরেছি। তবে ক্রমানুসারে কিছুটা উল্লেখ করছি-
ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন (২০০৯-২০১৪ সাল) নিজ প্রচেষ্টায় উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ
১। সুবিদখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দিয়া লঞ্চঘাট হয়ে মাজার খেয়াঘাট পর্যন্ত ১কি.মি. রাস্তা পাকা করন।
২। দেউলীসুবিদখালী বাধঘাট থেকে পশ্চিম সুবিদখালী আলিম মাদ্রাসা হয়ে চত্রা ওলামা মঞ্জিল মাদ্রাসা হয়ে দেউলী বাজার পর্যন্ত ৬ কি.মি.রাস্তা পাকা করন।
৩। পশ্চিম সুবিদখালী মহাসড়ক হইতে মরহুম এনায়েত খান বাড়ী পর্যন্ত ২কি.মি. রাস্তা পাকা করন।
৪। বটতলা-ডাসের ডাঙ্গা আমড়াগাছিয়া সড়কের ২ কি.মি. রাস্তা পাকা করন।
৫। মনোহরখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট
৬। সুবিদখালী র.ই. পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট
৭। চত্রা ওলামা মঞ্জিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ঘাটলা নির্মাণ।
৮। সুবিদখালী কারিমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার মাঠ ভরাট
৯। ২০১১-১২ অর্থ বছরে ১৬৮ মে.টন কাবিখার মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
১০। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৫৭০ মে.টন কাবিখার মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা হলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে উন্নয়নমূলক কাজে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কাজ না করে ৪৪০ মে.টন খাদ্যশষ্য ফেরত দিতে হয়।
চেয়ারম্যান থাকাকালীন (২০১৪-২০২৪ সাল) উন্নয়নমুলক কাজের বিবরন ঃ
১। ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ। (৫৯৫টি উপজেলার মাধ্যে ২২তম অডিটরিয়াম)
২। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ। (৫৯৫টি উপজেলার মাধ্যে ২৩৫তম কমপ্লেক্স ভবন)
৩। বাকেরগঞ্জ সুবিদখালী-চান্দুখালী বরগুনা পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরন সম্পন্ন এবং চার লেন সড়কে উন্নীত করন (চলমান)
৪। উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ (চলমান)।
৫। মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।
৬। উপজেলা পরিষদ অত্যাধুনিক সাজে সজ্জিত লাইটিং করন।
৭। মির্জাগঞ্জ মরহুম ইয়ার উদ্দীন খলিফা সাহেব (রহঃ) মাজার রোড অত্যাধুনিক সাজে সজ্জিত লাইটিং করন।
৮। সুবিদখালী হেডকোয়াটার হইতে জলিসা বাজার এবং সিংবাড়ী হইতে ভয়াং বাজার পর্যন্ত টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ১৮ ফুট প্রশস্থ করন (চলমান)
৯। মির্জাগঞ্জ ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পায়রা নদীর পাড়ের বিভিন্ন স্থানে ভেড়িবাধ ভাঙ্গন প্রতিরোধে হাই প্রটেকশন ভেরিবাধ নির্মান।
১০। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মহাসড়ক সংলগ্ন যাত্রী ছাউনী নির্মাণ।
১১। উপজেলায় আয়রন ব্রীজ প্রকল্পের আওতায় ৭০-৮০টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে এছাড়া আরও ব্রীজের কাজ চলমান রয়েছে।
১২। জিএসআইডিপি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক মসজিদ মন্দিরের উন্নয়ন মুলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
১৩। বৃহত্তর পটুয়াখালী বরগুনা প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। বর্তমানে আরো কাজ চলমান রয়েছে।
১৪। ত্রাণ দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে উপজেলায় প্রায় ৫০-৬০টি গাডার ব্রীজ নির্মাণ এবং প্রায় ৩০-৩৫ কি.মি. এইচবিবি রাস্তা করা হয়েছে।
১৫। উপজেলার সাধারন কৃষকের মাঝে প্রনোদনা বাবদ সার, বিজ কিটনাশক সরবরাহের কার্ডের সংখ্যা ছয় হাজার থেকে বার হাজারে উন্নীত করা হয়েছে।
১৬। জাইকার অর্থায়নে জলিসা ব্রীজ, রামপুর ব্রীজ ও ঝাটিবুনিয়া ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। মহিষকাটা বাজারের ব্রীজটির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৭। বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের আওতায় মির্জাগঞ্জ উপজেলায় প্রায় এক হাজারের অধিক বাড়ীর দরজা সলিং করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ মন্দির সংলগ্ন প্রায় দুইশতাধিক পাকা ঘাটলা নির্মাণ করা হয়েছে। পানি নিস্কাশনের জন্য দুইশতাধিক ইউড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে।
১৮। বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় দুই হাজারের মত গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে।
১৯। জাইকার অর্থায়নে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অভ্যন্তর এবং সুবিদখালী বন্দরের মধ্যে পয়ঃনিস্কাশনের নিমিত্তে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। মজিদবাড়ীয়া ও আমড়াগাছিয়া দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচু নিচু বেঞ্চ, প্যাডেল বিন (ময়লার ঝুড়ি) এবং টেম্পারেচার মাপার মিটার সরবরাহ করা হয়েছে।
২০। টি.আর এর মাধ্যমে উপজেলায় প্রায় এক হাজারের মত গরীব হতদরিদ্রদের মাঝে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা হয়েছে। কাবিখা ও কাবিটা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উপাজেলার বিভিন্ন রাস্তা ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে।
২১। বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের মাধ্যমে কাকড়াবুনিয়া ও পায়রাকুঞ্জ লঞ্চঘাট এর রাস্তা পাইলিংসহ নির্মাণ করা হয়েছে।
২২। উপজেলা রাজস্ব তহবিলের অর্থায়নে উপজেলা হতদরিদ্র গরিব অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অসহায় হতদরিদ্র রোগীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা, অগ্নিকান্ড এবং নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
২৩। উপজেলা সমাজসেবা অধীদপ্তরের মাধ্যমে অসহায়ক বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধিদের নির্ধারিত কোঠার চেয়ে সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২৪। উপজেলা মৎস্য প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অসহায় দরিদ্র জেলের মাঝে আয়বর্ধক বকনা গরু বিতরন করা হয়েছে।
২৫। ভিজিএফ ভিজিডি নামের নির্ধাতির নামের কার্ডের চেয়ে বিশেষভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারো প্রার্থী হয়েছেন জয়ের ব্যাপারে কতোটা আশাবাদি। জানতে চইলে খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর পরে আমার এলাকার মানুষের হাতে। আমার বিশ^াস তারা আমাকে নিরাশ করবেন না। বরাবরের মতো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে আমার এলাকার মানুষের খেদমতের সুয়ো দিলে মির্জাগঞ্জকে একটি মডেল ও স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তর করব। মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে আধুনিক উপজেলায় রুপান্তরের নিমিত্তে শিক্ষা কার্যক্রম উন্নত ও মাদকমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করার নিমিত্তে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এগিয়ে নিতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করবো। আমি দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই মির্জাগঞ্জ উপজেলা হবে শতভাগ মাদকমুক্ত উপজেলা। পাশাপাশি বেকার যুবক ও নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ।
আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকে এবং আপনার পত্রিকাসংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

সর্বশেষ - জাতীয়