ডেস্ক রিপোর্ট :
কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার খবরের প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে এলো। কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি তার মরদেহ। হত্যার পর টুকরো টুকরো করা হয় এমপি আনারের দেহ। তবে কোনো হদিস নাই তার লাশ তথা মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার কোনো আলামত। আর আনারের মরদেহের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ভাঙরের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে ফেলা হয়েছিল এমপি আনারের দেহাংশ। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সেখানে তল্লাশি চালিয়েও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। এখন কলকাতার গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়, তার কমোড দিয়ে মরদেহের টুকরো ফ্ল্যাশ করে দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘সংসদ সদস্যের দেহাংশের সন্ধানে সঞ্জীবা গার্ডেনসের স্যুয়ারেজ লাইন ভাঙতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।’
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছে ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২৮ মে) দিনের শুরুতে নিউটাউনের ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে কথা বলেন হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রথমে তারা যে খালটির কথা বলেছিলেন, সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে সার্চ করেছেন। আজও সার্চ করছেন। এবং তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি, আমরাও তাদের সঙ্গে আসছি। আমরা কিছু অনুরোধ করেছি। সঞ্জীবা গার্ডেনসের পাশে একটি হাতিশালা খাল রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি, এটা যেন সার্চ করা হয়।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমরা আরেকটি অনুরোধ করেছি। যে বাসায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ঢুকেছিলেন। সেটি যেন সার্চ করা হয়। যেখানে যে তিনটি কমোড রয়েছে, সেগুলো ফ্ল্যাশ করলে ময়লা যেখানে জমা হয় এবং যে স্যুয়ারেজ লাইন, সেটি ভাঙতে বলেছি। আশা করি, ওনারা এই কাজগুলো আজই করবেন। এছাড়া, হাতিশালা ব্রিজের কাছে যে খালটা, সেটিও সার্চ করতে অনুরোধ করেছি আমরা।’