নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর ফলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনেক যাত্রীই সময়মতো উপস্থিত হতে পারেননি। তাই অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের মোট ৩৮টি ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে দুটি ফ্লাইটের সময় পিছিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ ছাড়া ফ্লাইট মিস হওয়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ও এয়ার অ্যাস্ট্রা।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, সড়কের যানজটের কারণে অনেকেই বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। এ কারণে বিমানের ঢাকা-দাম্মাম রুটের বিকেল ৩টার ফ্লাইট ৩০ মিনিট বিলম্বে উড্ডয়ন করেছে। এ ছাড়া দুপুর ২টা ৫ মিনিটের ঢাকা-জেদ্দা রুটের একটি ফ্লাইট ছিল। ফ্লাইটটি সর্বশেষ সাড়ে ৩টার দিকেও ছেড়ে যায়নি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস জানায়, তাদের ফ্লাইট কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। ১৫-২০ শতাংশ যাত্রী ফ্লাইট ধরতে পারেননি। ফ্লাইট বিলম্ব হলেও বাতিল হয়নি বলেও জানানো হয়। এয়ার অ্যাস্ট্রা জানায়, তাদের ১০-১৫ শতাংশ যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন। তবে সেসব যাত্রীদের জন্য কোনো চার্জ ছাড়াই অন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সকালে বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। সেসব সড়কের বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনতে এপিবিএন, ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগ, এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কাওলা সড়ক খোলা রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দরের যাত্রীরা আসা-যাওয়া করছেন।